জীবিত পুঁতে রেখে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় কঙ্কাল উদ্ধারসহ এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৩ রংপুরের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, গত বছরের ১৪ জুলাই লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজলার মোঃ আলমগীর হোসেনকে (৪৫) তার সৎভাই কোমল পানীয় ও জুসের সাথে চেতনানাশক সেবন করে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে খুনিরা আত্মগোপন করে। মোঃ আলমগীর হোসেনের মায়ের জমি ভোগ করে আসছিল তার সৎভাই খেলান উদ্দিন ও আবদুস সাত্তার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এক বছর আগে তার সৎ ভাইদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিল মোঃ আলমগীর হোসেন। বিষয়টির কোন কূলকিনারা পাচ্ছিল না পুলিশ। আদিতমারী উপজেলার পশ্চিম রামদেব গ্রামে তার সৎভাই আবদুস সাত্তারের ভায়রা আবদুল আজিজ ওরফে রাশেদুল ড্রাইভার ও ওই গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ আলী এবং সেকেন্দার আলীর সহযোগিতায় একটি বাড়িতে আলমগীর হোসেনকে ডেকে কৌশলে কোমল পানীয় ও জুসের সাথে চেতনানাশক খাওয়ান। আলমগীর হোসেন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে জীবিত অবস্থায় বাঁশঝাড়ের মধ্যে পুঁতে রেখে হত্যা করা হয়।
ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে গত বছরের ১৪ জুলাই কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। এর মধ্যে সৎভাই খেলান উদ্দিন ও আবদুস সাত্তার মারা যান। চলতি বছরের ১০ জুলাই ভিকটিমের ভাই সাদ্দাম হোসেন লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩ চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ১৫ আগস্ট গাজীপুর জেলার টুঙ্গী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামি কালিগঞ্জের রুদ্রেশ্বর এলাকার মৃত জহর উদ্দিনের পুত্র মোঃ আদম আলীকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, ধৃত আসামি অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় ওই দিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে কোমল পানীয় ও জুসের সাথে চেতনানাশক সেবন করিয়ে জীবিত অবস্থায় বাঁশঝাড়ের মধ্যে মাটিতে পুঁতে রেখে হত্যা করে বলে স্বীকার করে।
বিডি প্রতিদিন/এএ