ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতা জনি মিয়াকে (৩৫) ছুরিকাঘাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে নিহতের পিতা মকসেন মিয়া বাদী হয়ে উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আবু সামা ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেনসহ ১৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। পিতা-পুত্র দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা এবং দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। তারা হলেন- তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।
এর আগে গত সোমবার রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারের অদূরে ওই গ্রামের মকসেন মিয়ার ছেলে তালশহর ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জনি মিয়া ও তার চাচাত ভাই আউয়াল মিয়া (৪৭) দুইজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তারা জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে এবং আউয়ালকেও কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল