নওগাঁর মান্দায় নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর এক ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলার গুন্দইল এলাকার একটি খাল থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই ইজিবাইক চালকের নাম গোলাম রাব্বানী (৩৫)। তিনি মান্দা উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি গত সোমবার বাড়ি থেকে ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি।
বুধবার একই গ্রামের নাহিদ ও তুহিন নামে দুই যুবকসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার ছেলেকে অপহরণ করতে পারে বলে অভিযোগ তুলে মান্দা থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা আক্কাস আলী। পুলিশ এখনও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে ইজিবাইক চালক গোলাম রাব্বানী ভাড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। স্থানীয় জিগাতলা বাজারে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের সময় ইজিবাইক চালক রাব্বানী একই গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ হোসেন ও তুহিন মহাদেবপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওইদিন সন্ধ্যা থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজেও রাব্বানীর হদিস না পেয়ে পরদিন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রাব্বানীর বাবা আক্কাস আলী। বুধবার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখার পর নাহিদ ও তুহিনের বিরুদ্ধে রাব্বানীকে অপহরণের অভিযোগে মান্দা থানায় অপহরণ মামলা করেন তার বাবা। এরপর থেকে অভিযুক্ত তুহিন ও নাহিদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ বেলা ১১টার দিকে পোরশা উপজেলার গুন্দইল খালে একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পোরশা থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। মান্দা থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরে রাব্বানীর স্বজনরা সেখানে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। পরে দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে মান্দা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজের দিনেই গোলাম রাব্বানীকে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের দুটি হাত পিঠের পেছন দিকে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধারের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন নাহিদ ও তুহিন নামের দুই যুবক পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল