রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মিনু বেগম খুন হওয়ার মরদেহ উদ্ধারের পরদিন শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাংশা থানার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ গ্রাম থেকে রুনা খাতুন (৩০) নামে খুন হওয়ার এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে কাতার প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী।
নিহতের চাচা শ্বশুর আতাহার মন্ডল বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রুনা খাতুনের ছেলে হুসাইন (২) কান্না করতে থাকে। তার কান্নার শব্দে হুসাইনের বড়বোন উম্মে সিনহা (১০) ঘুম থেকে উঠে আসে। উম্মে সিহনা দেখতে পায় তাদের মা ঘরে নেই। ওই সময় তাদের বাড়িতে প্রতিবেশী মিলন শেখ (২৫) নামে এক যুবককে দেখতে পায়। মিলনের কাছে তার মায়ের কথা জিজ্ঞেস করে উম্মে সিনহা। মিলন উম্মে সিনহাকে মুখ আটকে টয়লেটে আটকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা রুনা খাতুনের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাড়ির পাশে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আসছিলো। সেই বিষয়টি জানতেন মিলন। সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য রাতে মিলন শেখ রুনা খাতুনে বাড়িতে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে টাকা হাতিয়ে নিতেই রুনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, রুনা বেগম হত্যার ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। দুটি হত্যা নিয়ে আমরা তদন্ত রেখেছি। আমরা মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছি। সেটি আরও বেগবান করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ