রংপুর সদর উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ফাঁস করায় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকেলে রংপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন, ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য সহিদুল ইসলাম সুমন।
সংবাদ সম্মলনে তিনি লিখিত অভিযোগ করে জানান, সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে চাল চুরি, ভিজিডি কার্ডে অনিয়ম, ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে নানান দুর্নীতি ও বয়ষ্ক ভাতাসহ অন্যান্য ভাতার কার্ড ও এলজিএসপি বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। চাল আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান সোহেল রানা র্যাবের হাতে আটকও হয়েছিল। চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছিলেন ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম সুমন। চলতি বছরের ১৪ মে দুপুরে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে চেয়ারম্যান সোহেল রানার সাথে ইউপি সদস্য সুমনের কথা কাটাকাটি হয়। সুমনকে ফাঁসাতে বিকেলে চেয়ারম্যান সোহেল রানা তার লোকজনদের দিয়ে নিজ অফিস কক্ষে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে এবং ইউপি সদস্য সুমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাহিনী দীর্ঘ তদন্তে ইউপি সদস্য সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান সোহেল রানার অভিযোগ মিথ্যা হওয়ায় কে বা কারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে অবমাননা করেছে তা খতিয়ে দেখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ বর্মন স্বাধীন, উপজেলা জাসদ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সদ্যপুস্করনী ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা ফোন ধরেননি।
বিডি প্রতিদিন/এএ