হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। দুটি মামলায় হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এতে ৯০ জন করে নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখসহ প্রতিটিতে ৬০০ করে মোট ১২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই খোরশেদ আলম পুলিশ অ্যাসল্ট ও এসআই ওয়াহেদ গাজী বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা থেকে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ আহত হন। আহত ওসিকে রবিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা হবিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে, পুলিশ ও বিএনপি সংঘর্ষে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়াল আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। এছাড়াও পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে আহত আরো বেশ কিছু নেতাকর্মী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এছাড়াও হবিগঞ্জে বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ও শান্তি সমাবেশ থেকে সংঘটিত বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই