২৫ মে, ২০২৪ ১৮:০৭

কসবায় স্থগিত হওয়া কুটি ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন কাল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

কসবায় স্থগিত হওয়া কুটি ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন কাল

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় আগামীকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হবে স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। ১১টি কেন্দ্রে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। শনিবার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নির্বাচনি সরঞ্জামাদি নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। ১১টি কেন্দ্রকেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ দায়িত্ব পালন করবেন তিন শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। বিপত্তি বাধে ইউসুফ আহম্মেদ নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপারে প্রতীক ভুল ছাপা নিয়ে। তিনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার প্রতীক ভুল ছাপা দেখতে পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন তাকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। কিন্তু ব্যালটে ছাপা হয়েছে প্যাডেল রিকশা প্রতীক।

অভিযোগের ভিত্তিতে দুপুর আড়াইটার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কুটি ইউনিয়ন পরিষদের শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়নি। ওই দুই পদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এতে নয়জন ইউপি সদস্য এবং তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়।

গত ৭ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে কসবার কুটি ইউপি চেয়ারম্যান পদের স্থগিতকৃত নির্বাচনের পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন-মো. নজরুল ইসলাম, মো. মোস্তাক আহাম্মদ, মো. ফারুক ইসলাম, মো. শরীফ সরকার, ইউসুফ আহমাদ, মো, সানু মিয়া, মো. শাহজাহান ভূইয়া, মো. আফতাব উদ্দিন নাছির ও মো. জাকির হোসেন।

কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদের স্থগিত হওয়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রত্যেকটিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে আমরা কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, তিন শতাধিক পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর