২৬ মে, ২০২৪ ১৩:৩৯
ঘূর্ণিঝড় রেমাল

উৎকণ্ঠায় পিরোজপুরের নদীপাড়ের মানুষ

পিরোজপুর প্রতিনিধি

উৎকণ্ঠায় পিরোজপুরের নদীপাড়ের মানুষ

কঁচা বলেশ্বর ও কালিগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট বেড়েছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র প্রভাব পিরোজপুর জেলায় পড়তে শুরু করেছে। 

আজ রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি ও দমকা বাতাস। কঁচা বলেশ্বর ও কালিগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট বেড়েছে। তাই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়ছে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নদীপাড়ের ৫ লক্ষাধিক মানুষের মাঝে।

জেলার ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা মঠবাড়িয়ার মাঝেরচর, বড়মাছুয়া, সাপলেজা ও ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালী চর এলাকায় মানুষের মধ্যে অনেকটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া ভান্ডারিয়া ও কাউখালী উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। এসব এলাকার অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসন উপকূলীয় এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছে।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ৫৬১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ২ লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবে। ৭ উপজেলায় ৬৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সিপিবির ২৪০০ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব স্বেচ্ছাসেবক উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করাসহ তাদের কার্যক্রম অনেকটাই শুরু করে দিয়েছেন। 

তবে টেকসই ভেড়িবাঁধ না থাকায় নদী পাড়ের মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। জেলায় ৩৩৯ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় বেশ কয়েকটি স্থানের ভেড়িবাঁধ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তাই আতঙ্কের মধ্যে আছে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানীর উপকূল এলাকার মানুষেরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকায় মানুষের তুলনায় আশ্রয়ণকেন্দ্র কম। এছাড়া অনেক আশ্রয়কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে নেই বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ঝুকিপূর্ণ এলাকার ভেড়িবাঁধ র্নিমাণে তারা কাজ করছেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর