গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আনন্দ মিছিলে হামলা, দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৩ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ সসেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতের সিএসআই উপ-পুলিশ পরিদর্শক শরীফ উদ্দিন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌকি আদালতের বিচারক নাজমুল হাসান এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো নেতারা হলেন- আল আমিন (৩২), রুহুল আমিন (২৬), ফজলে করিম চুন্নু (৫২), মুনছুর আলী (৩৮), মজনু মিয়া (৩৫), সাফায়াত হোসেন (২৭), আতিকুর রহমান (৩৫), হাবিবুর রহমান (২৭), আব্দুল আলিম (৪২), মমজেদ আলী (৫২), নূরুন্নবী (৫৫), সুমন মিয়া (৩২), আজিজার রহমান (৪৮), জাফিরুল ইসলাম (৪০), আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), আব্দুল খালেক (৪৮), নূর আলম (৩৫), শহিদুল ইসলাম (৩৬), মজিবর রহমান (৫০), রেজাউল করিম রফিক (৪২), মাজেদুল ইসলাম মাহিন (৩৫), রেজাউল করিম রাজা (৫২), ছাইদুর রহমান (৩৮), বুলু মিয়া (৩৫), ছালজার রহমান (৩৬), আব্দুল হামিদ (৫৮), রফিক মিয়া (৫৫), আবু তাহের (৫২), আবু মিয়া (৫৫), মতি মিয়া (৫৮), বাবলু মিয়া (৪৫), আব্দুল খালেক (৩৭) এবং অসীম মিয়া (৩৫)।
মামলার প্রধান আসামি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল (৪০) অনুপস্থিত ছিলেন।
আদালতের সিএসআই উপ-পুলিশ পরিদর্শক শরীফ উদ্দিন বলেন, মঙ্গলাবার আসামিরা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিকেলে বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদের গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফুলপুকুরিয়া বাজারে ওইদিন একটি আনন্দ মিছিল করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিলে হামলাসহ ফুলপুকুরিয়া বাজারের শাহজাহান আলীর দোকানটি ভাঙচুর ও লুটপাট করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শাহজাহান আলী বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল