পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: রফিকুল ইসলাম মিঠু ফকিরের লাশ হত্যার দেড় মাস পরে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পরিস্থিতির কারণে মিঠুর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হয়েছিল। এ কারণে আদালতের আদেশে ময়নাতদন্তের জন্য দেড় মাস পরে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর আমলী আদালত-০২ এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাদিক আহম্মেদ এর আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌফিক আনোয়ার, ভান্ডারিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামাল হোসেন, ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবুল বাশার, ভিটাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান খান এনামুল করিম পান্না।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভান্ডারিয়ার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোশাররফ ফকিরের ছেলে মিঠু ফকিরসহ বাশার তালুকদার, মো. ছালাম তালুকদার ও হাসিব তালুকদারকে কুপিয়ে আহত করে স্থানীয় জেলা পাড়ার ৩০ থেকে ৪০ জনে একটি দল। প্রথমে মিঠুকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হলে ৬ আগষ্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। ৭ আগস্ট বিকেলে ময়না তদন্ত ছাড়াই তাকে তার গ্রামের বাড়ী উপজেলা ভিটাবাড়ীয়ায় দাফন করা হয়। সে সময় থানা পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ময়নাতদন্ত করানো সম্ভব হয়নি বলে জানান তার বোন নাজমা বেগম।
নিহতের স্ত্রী পলি আক্তার জানান, সে সময় থানায় মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় গত ১৬ আগস্ট তিনি বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় ১৫৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর- ৪/১২২। মামলাটি পিরোজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জি.আর মামলা হিসেবে নথীভুক্ত হয়, যার নম্বর ১২২/ ২৪। গত ২ সেপ্টেম্বর আমলী আদালত-০২ এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাদিক আহম্মেদ মিঠুর লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার এ লাশ উত্তোলন করা হয়
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ