ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাফরাজ হোসেন বলেছেন, সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের যে স্বপ্ন ছিল সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম ও আমাদের যুদ্ধ চলবে। শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও আমরা সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। লক্ষ্মীপুর হবে একটি মডেল জেলা, সারা বাংলাদেশে রোল মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তোলার সব কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
সোমবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মাফরাজ হোসেন বলেন, জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি যতগুলো দাতব্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে সবাইকে আমরা একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি, আমরা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন গঠন করেছি। কমিশনের কাজ হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম যখন স্থবির হয়ে পড়ে, তখন মানুষের অভিযোগও সমস্যাগুলো নিয়ে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের সহায়তা প্রদান করা। এ ছাড়া কমিশনের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন যারা গুম হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সে তথ্য (ভিডিও চিত্র ও অপরাধীদের) সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দেওয়া হচ্ছে, দ্রুত যেন তাদের আইনের আওতায় আনা যায়।
এখন পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরের স্থায়ী বাসিন্দা ১৬ জন নিহত হয়েছে। ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে চারজন ও ঢাকায় আন্দোলনে ১২ জন নিহত হয়। এ ছাড়া আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায়ও কাজ করছে এ কমিশন।
ব্রিফিংয়ে এ সমন্বয়ক চলমান বন্যা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে যৌথ সমন্বয়ে ত্রাণ বিতরণ, মেডিকেল টিমের সেবা, খাল-নদীর বাঁধ অপসারণ এবং নগর পরিকল্পনা নিয়ে নিজেদের সম্মিলিত অবস্থান ও কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।
এসময় ছাত্র সমন্বয়কদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সারোয়ার হোসেন, এনামুল হক, বায়েজিদ হোসেন, শাহেদুর রহমান রাফি ও আরিয়ান রায়হান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই