সম্প্রতি রাজবাড়ীতে নারী ও শিশুসহ পৃথক ৫ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বক্তব্য রাখেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজবাড়ীতে শিশু ও নারীসহ পৃথক ঘটনায় পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভবদিয়াতে শিশু মিনহাজুল (১২) হত্যার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মঙ্গলবার মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামানসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর পাংশায় চামেলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার স্বামী রতন খাঁর বিরুদ্ধে। রতন খাঁ’কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
২১ সেপ্টেম্বর ভোরে জেলার কালুখালীর রতনদিয়াতে নাজমুল শেখকে (৩২) ট্রান্সফরমার চুরির দায়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সালাম দরি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের কাটাখালি এলাকায় সুলিশ সরকার (৫৭) নামে চরমপন্থী দলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জনি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে জেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের মাটিপাড়া গ্রামে বন্যা খাতুনকে (৩০) শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ করেন পরিবার। এ ঘটনায় বন্যার স্বামী রশিদ শেখকে (৩২) গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের পূর্ব ভবদিয়া গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে মিনহাজুল শেখ (১২) নামে এক শিশুর মদেরহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে শিশু মিনহাজুল হত্যাকাণ্ডে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই