টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের কামালপুর মৌজায় বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের প্লটের ছোট ছোট গাছ কেটে কয়েক ব্যক্তির যৌথ উদ্যোগে ঘর উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল বন বিভাগের ধলাপাড়া রেঞ্জের সাগরদিঘী বিটের আওতায় আকন্দের বাইদ গ্রামে সামাজিক বনায়নের জন্য ১১৮ নম্বর দাগে ১৪ নম্বর প্লট (১ একর) বরাদ্দ পান স্থানীয় আব্দুল আজিজ। তিনি যথারীতি গাছ রোপন করেন। তার প্লটের পাশে বন বিভাগের পরিত্যক্ত জায়গায় গাছের চারা রোপণ করা হয়। ওই চারাগাছ কিছুটা বড় হয়। কিন্তু স্থানীয় জাফর আলীর ছেলে মিন্টু মিয়া (৩২) ও তার বোন মোছা. শেফালী আক্তার (৪২), আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহেল (৩৮), শের মামুদের ছেলে সাহেব আলী (৪০) সাগরদিঘী বনবিটের গার্ড জাহাঙ্গীর হোসেনের মাধ্যমে বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে একটি টিনসেড ঘর উত্তোলন করেন।
প্রতিবেশি নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বন বিভাগের বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বন বিভাগের সম্পত্তি দখল করা এলাকার একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। ফলে সরকারি বনের জমি কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় বন আর থাকবে না।
অভিযুক্তদের মধ্যে সাহেব আলী জানান, তারা বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে আপোষরফার পরই ঘর উত্তোলন করেছেন। এ কারণে বন বিভাগের গার্ড প্রতিবাদ করেও কিছু করতে পারেনি।
সাগরদিঘী বিটের গার্ড জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি বাধা দেওয়ায় ঘর উত্তোলন কয়েকদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি তিনি ছুটিতে যাওয়ার পর সেখানে ঘর উত্তোলন করা হয়েছে।
বন বিভাগের ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদ রহমান জানান, সম্প্রতি বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল