মেয়েকে উত্যক্তের অপবাদ দিয়ে রংপুরের মিঠাপুকুরে কিশোরকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশির বিরুদ্ধে। মারধর করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা, ওই যুবককে উল্টো থানা পুলিশের হাতে দিয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গামতি গ্রামের দরিদ্র সাহেব আলীর ছেলে রাজু মিয়া (১৬)। অভাবী সংসারে সে পড়ালেখা বাদ দিয়ে বাবার সাথে কৃষিকাজে সহায়তা করে। প্রতিবেশি ধর্নাঢ্য হাফিজুর রহমানের মেয়ের সাথে সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এ নিয়ে দুই পরিবারে মাঝে ঝগড়া-ঝাটি চলছে। গত শনিবার বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে সে দাঁড়িয়ে ছিল। সেখান থেকে মেয়ে পক্ষের লোকজন তাকে ধরে হাফিজুরের আঙিনায় নিয়ে যায়। একটি আম গাছের সাথে রশি দিয়ে শরীর এবং অন্য গাছের সাথে হাত শক্তভাবে বেঁধে ফেলে। এরপর ১৫/২০ জন মিলে লাঠি দিয়ে রাজুকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ডেকে এনে ওই কিশোরকে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
গাছে বেঁধে মারপিটের বিষয়ে মেয়েটির বাবা হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েকে বারবার বিরক্ত করে আসছে রাজু। তাই, তাকে ধরে একটু শাসন করা হয়েছে। তবে, অপরাধ করলে আইনের আশ্রয় না নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে মারপিট করা হয়েছে কেনো- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। মারপিটে অভিযুক্ত আবদুল খালেক, করিমসহ অন্যরাও একই কথা বলেন।
মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ছেলেটির একটু মাথায় সমস্যা আছে। তাকে মারধর করা ঠিক হয়নি। তাকে সেইফ করার জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে ১৫১ ধরায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল