গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার রাতে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব-৪ এর সদস্যরা।
সোমবার র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রবিবার রাতে ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে এ. শমসের নামেও ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গাজীপুর কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়। রাজধানীর পল্লবীর চাঞ্চল্যকর আনিস (২২) হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন এ. শমসের।
সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে থাকা কারাবন্দিরা ভবন থেকে বের হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করেন। তারা কারাগারের ভেতরে কারারক্ষীদের জিম্মি করে পালানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি এ. শমসেরসহ অন্যান্য বন্দিরা কারাভ্যন্তরের বৈদ্যুতিক পিলার ভেঙে তা দিয়ে মই তৈরি করেন। পরে ওই মই বেয়ে বাউন্ডারির ওপর দিয়ে কারাগার থেকে ২০৯ বন্দি পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর কারাগারের জেলার মো. লুৎফর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পল্লবী এলাকার একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন শমসেরের বন্ধু অর্থাৎ মামলার ভিকটিম আনিস। মোবাইল ফোন ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জরুরি কথা আছে বলে আনিসকে ডেকে নিয়ে যায় শমসের ও লালু।
লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, পরদিন সকালে ওয়াপদা বিল্ডিংয়ের মিল্কভিটা মাঠের পাশের জমিতে আনিসের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে শমসেরকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/কেএ