নানা অনুষ্ঠান ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে বাউবির কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউবির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এম. শমশের আলী।
তিনি বলেন, অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ও যুগোপযোগি সিলেবাস তৈরি করে বাউবি তার লক্ষ্যের বন্দরে পৌঁছাবে। বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, যে দর্শনের উপর ভিত্তি করে ১৯৯২ সালে বাউবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো তা যেন অক্ষুন্ন থাকে। ড. এম. শমশের আলী এ সময় বাউবি সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ ও ইতিহাস নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, সকলের সহযোগিতা, একাগ্রতা ও শ্রমের মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এ সময় তিনি, বাউবির অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বাউবিকে এগিয়ে নিতে আমি বেশ কয়েকটি সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এগুলো সমাধানের মাধ্যমে বাউবি নিশ্চয়ই তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে বলে আমি মনে করি। এ সময় জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের সময় বাউবির আহত চার শিক্ষার্থীর হাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে মোট দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেয় বাউবি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, সকালে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়। পরে, জাতীয় পতাকা ও বিশ^বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতীক পায়রা নীল আকাশে অবমুক্তকরণ, বেলুন উড়ানো এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদসহ সকল শহিদের প্রতি বাউবি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাউবির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের অংশগ্রহণে একটি শোভাযাত্রা ও র্যালি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এরপর নিম বৃক্ষরোপন এবং বাদ জোহর বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। একই সময়ে দেশ জুড়ে বাউবির সকল আঞ্চলিক ও উপ আঞ্চলিক কেন্দ্রেও পতাকা উত্তোলন ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করেন অফিস প্রধানগণ।
বিডি প্রতিদিন/এএম