রাঙামাটির শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। টানা তিন মাসব্যাপী চলা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা।
সোমবার সকাল ১০টায় ব্র্যাকের উদ্যোগে রাঙামাটি শহরের রাঙাপানি এলাকায় মোনঘর বিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কক্ষে প্রশিক্ষণার্থীদের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি ব্র্যাকের সমন্বয়ক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মাইক্রোফাইন্যান্স বিভাগের রিজিয়নাল ম্যানেজার মো. আবদুল আহাদ। উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার সুপ্রিয় বড়ুয়া, মোনঘর আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল গঙ্গারাম চাকমা, ও ব্র্যাকের সিনিয়র এইচআর অফিসার আহমেদ উল্লাহ পারভেজ।
মো. আবদুল আহাদ বলেন, সারাদেশে ১০ লাখ তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স ‘প্রগতি কর্মসূচি’ গ্রহণ করেছে। রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি শিক্ষার্থীদের মিলে ১৫ জন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে ৩৬ দিনের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণে তাদের আগ্রহ ছিল অনেক। আশা করি এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আত্মকর্মসংস্থান গড়ার লক্ষ্যে কাজে আসবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি পার্বত্যাঞ্চলের শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের সাবলম্বী করে তুলতে। তাই এ ফ্রিল্যান্সিং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”
কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থী মো. আল মাহামুদ বলেন, “ব্র্যাকের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। এতে আমাদের মেধার বিকাশ ঘটেছে। আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কেও ব্যাপক ধারণা পেয়েছি। এটা আমাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে।”
একই কথা জানান প্রশিক্ষণার্থী শান্তি প্রিয়া চাকমা ও প্রভাতি চাকমা। তারা বলেন, “উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ জরুরি। আমরা এ প্রশিক্ষণ ব্র্যাকের কাছ থেকে পেয়েছি। এর ফলে উদ্যোক্তা হতে আর বাধা নেই।”
প্রসঙ্গত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মাইক্রোফাইন্যান্স প্রগতি কর্মসূচির উদ্যোগে ৩৬ দিনের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রথম ব্যাচ শুরু করে ব্র্যাক।
বিডি প্রতিদিন/আশিক