পটুয়াখালীতে মেয়ের বিবাহের জন্য খোঁজ খবর নেয়ার ঘটনায় ছেলে পক্ষের লোকজন এক বৃদ্ধের উপর হামলা চালানোর পর গুরুত্বর আহতাবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে মারা যান হামলায় গুরুত্বর আহত বারেক ফকির (৬৫)। তিনি সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এর আগে শনিবার দুপুরে হামলার এ ঘটনা ঘটে। রবিবার রাতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রওশনা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর পরই ছেলের বাবা আজাহার খানকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে আজহার খানের বড় ছেলে আব্দুর রহমানের বিয়ের বিষয়ে খোঁজ নিতে আসেন মেয়েপক্ষের স্বজনরা। তারা প্রতিবেশী বারেক ফকিরের কাছ থেকে ছেলে ও তার পরিবারের নানা বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে চলে যান। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে আব্দুর রহমান ও তার ভাই আরিফ বৃদ্ধ বারেক ফকিরের ওপর হামলা চালায়। তারা দুজনে ওই বৃদ্ধকে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা বারেক ফকিরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকায় নিয়ে যেতে বললে স্বজনরা তাকে রবিবার বিকালে বাড়ি নিয়ে আসেন। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
নিহতের ছেলে সুমন ফকির বলেন, আমার বাবা গ্রামের সহজ সরল মানুষ। মেয়ের স্বজনরা বিবাহের জন্য ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তার উত্তর দেন বাবা। জানতে পেরে রহমান ও তার ভাই আরিফ আমার বাবাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাকে হাসপাতালে নিলেও শেষ পর্যন্ত বাচাতে পারিনি। আমার বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই রাসেল মাহমুদ বলেন, আব্দুর রহমানকে প্রধান আসামী করে তার বাবা-মা-ভাইসহ মোট পাঁচ জনকে আসামী করে মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে ছেলের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামী আব্দুর রহমান ও আরিফের বাবা আজহার খানকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এএম