গত বছরের ৪ আগস্ট বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত কমরউদ্দিন বাঙ্গি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামের ওপর আদালত চত্বরে পঁচা ডিম নিক্ষেপ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হলে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশের কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত জনতা তার বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন এবং পঁচা ডিম ছুঁড়ে মারেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ ও সেনাবাহিনী বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কমরউদ্দিন বাঙ্গি হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর কবির এদিন আমিনুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মেহেদি হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি একই দিনে সেলিম ও আব্দুল মান্নান হত্যা মামলায় আমিনুল ইসলামকে হাজতি পরোয়ানার ভিত্তিতে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত কমরউদ্দিন বাঙ্গি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এসব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
এর আগে শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ মণ্ডলের ছেলে। তিনি বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং জেলা বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যা মামলাসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ