গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। ঘটনার সময় তারা পুকুরে লাফ দিলে স্থানীয়রা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন, যা থেকে দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম। এর আগে, শনিবার (১ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দামপাড়া গ্রামের মালিব্বর মিয়ার ছেলে কাউসার আলী (৩২)। অন্য দুজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে রংপুর রেঞ্জের সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। স্থানীয়দের ধারণা, তারা সবাই বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের হেলালীপাড়া এলাকায় আব্দুস সালামের গোয়ালঘরের দেয়াল কেটে অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনের চোরের দল তিনটি গরু চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। চোরেরা পার্শ্ববর্তী নাসিরাবাদ গ্রামের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পিকআপ থেকে তিনজন পুকুরে লাফ দেন, বাকিরা গরু ও পিকআপ নিয়ে চলে যান।
এদিকে, স্থানীয়রা ওই পুকুরটির চারপাশ ঘিরে ফেলেন। পাশাপাশি ওই তিনজনের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, নিহতরা পার্শ্ববর্তী বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি সংঘবদ্ধ গরুচোর চক্রের সদস্য।
গাইবান্ধা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) রশিদুল বারী বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। একজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে, অপর দুইজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল