দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষ্ঠার ৫১ বছর পর প্রথমবারের মতো অর্থোপেডিক (হাড়ের) অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসক ও জনবল সংকটের মধ্যেও মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে এ সফল অপারেশনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা অপারেশন কার্যক্রম আবারও চালু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোলাইমান হোসেন জানান, এ অপারেশনের মধ্য দিয়ে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এখন থেকে নিয়মিত সার্জারি কার্যক্রম চালানো হবে। তিনি বলেন, ‘জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা রোগীদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
এ অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এনেসথেশিওলজিস্ট ডা. আদনান আরাফাত, আরএমও ডা. মুকসিদসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
ডা. সোলাইমান আরও জানান, বর্তমানে তিনি নবাবগঞ্জের পাশাপাশি ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বও পালন করছেন। ‘চিকিৎসক সংকট ভয়াবহ। ১১ জন মেডিকেল অফিসারের স্থলে আছেন মাত্র একজন, ৬ জন কনসালট্যান্টের জায়গায় একজন। তবু রোগীদের কথা ভেবে নিয়মিত অপারেশন চালুর চেষ্টা করছি,’ বলেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ৪০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসক ও কর্মচারীর স্বল্পতার কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে সাপে কাটার রোগী এখানে বেশি আসে, কিন্তু পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় অনেক সময় তাদের চিকিৎসা জটিল হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা আশা করছেন, নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই অপারেশন কার্যক্রম চালু হওয়ায় এখন আর রোগীদের জেলা সদর হাসপাতালে যেতে হবে না- নিজ উপজেলা থেকেই তারা উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ