১৮ জুন, ২০১৯ ১৬:১৫

পুরো ইনিংসে সাহস যুগিয়েছেন সাকিব ভাই : লিটন

অনলাইন ডেস্ক

পুরো ইনিংসে সাহস যুগিয়েছেন সাকিব ভাই : লিটন

বিশ্বকাপের সেমির আশা জিইয়ে রাখতে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সোমবার মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই লড়াইয়ে জয়ী টাইগাররা। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরির পাশাপাশি লিটন দাসের অপরাজিত ৯৪ রান বিশ্বকাপের নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে প্রধান ভূমিকা রাখে এটি স্পষ্ট। 

বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নেমেই ব্যাট হাতে চমক দেখিয়েছেন লিটন। তবে ব্যাট হাতে শুরুর দিকে বেশ নার্ভাস ছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে এসে অকপটে তা স্বীকারও করেন লিটন। তবে লিটনের এই নার্ভাসনেস কাটিয়েছেন সাকিব। তাই ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পথে সাকিবের অবদান অনেক বেশি বলে জানান লিটন। ৬৯ বলের ইনিংসে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা হাকান লিটন।

৩২২ রানের পাহাড় সমান টার্গেট মাথায় নিয়ে দলীয় ১৩৩ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন সাকিব-লিটন। জয় দিয়ে ম্যাচ শেষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন সাকিব-লিটন। তাদের ১৩৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৮৯ রানের জুটিতেই জয়ের স্বাদ নিতে পারে বাংলাদেশ। 

তবে নিজের ইনিংসের শুরুতে নড়বড়ে থাকলেও সাকিব সাহস যুগিয়েছেন জানিয়ে লিটন বলে, ‘ব্যাটিংয়ে যাওয়ার সময় নার্ভাস ছিলাম। মিডলে খেলার অভ্যাস খুব একটা নেই। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমি মনে করি এটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমি নার্ভাস ছিলাম। সাকিব ভাই আমাকে হেল্প করেছে। খেলার মাঝখানে অনেক কথা বার্তা বলেছে, যেগুলো আমার নার্ভাসনেস কাটাতে ভূমিকা রেখেছে।’
২২ গজে থাকা অবস্থায় সাকিব লিটনকে কি পরামর্শ দিয়েছেন! 

এ ব্যাপারে লিটন বলেন, ‘তেমন কিছু না। আমি বলেছিলাম সাকিব ভাই এমন সুযোগ বার বার আসবে না। আপনি অপরাজিত থাকলে, আপনার গড়টা বারবে। সেই চেষ্টা করেন। সাকিব ভাইও আমাকে সাহস দিয়ে গেছে।’

সাকিবের সহযোগিতায় ৩০ রান করে ফেলার পর আত্মবিশ্বাস অনেকখানি বেড়ে যায় বলেও জানান লিটন, ‘আগেই বলেছি আমি সবকিছুতে নার্ভাস ছিলাম। ৩০ রান করার পর আমার মনে হয়েছে এই উইকেটে আমি রান করতে পারবো। এর আগে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলাম না। আমার কাছে মনে হয়েছে ৩০ রানের পর থেকে আমি সাবলীল হতে পেরেছি।’

ক্রিজে ব্যাট করার সময় অনুভূতিটা কেমন ছিলো জানতে চাইলে লিটন বলেন, ‘আমরা প্রতিটি খেলোয়াড় চাই, যে যখন থাকুক সে যেন রান করে। যেহেতু সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে জুটি গড়েছি তার রান হচ্ছে দেখে ভালো হচ্ছিল। আমার রান করা দেখে তারও ভালো লাগছিলো। আমি যখন ফিফটি করছিলাম উনি দৌঁড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। উনি জানেন আমি এই জায়গায় অভ্যস্ত নই। পুরো ম্যাচে উনি আমাকে অনেক সাহস দিয়ে গেছেন।’

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর