শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

মিমির কোয়েল পাখি

সোহেল বীর

মিমির কোয়েল পাখি

মিমির অনেক দিনের শখ কোয়েল পাখি পোষার। বড় আপুকে কতবার বলেছে, একটা কোয়েল পাখি এনে দিতে। কিন্তু বড় আপু তার প্রিয় পাখিকে এনে দিতে পারেনি। চট্টগ্রাম শহরের সবগুলো পাখির দোকানে খোঁজ নিয়েছে কিন্তু কোথাও কোয়েল পাখি নেই। এক পাখি ব্যবসায়ী একদিন বলল, এই সময় কোয়েল পাখি পাওয়া যায় না।

এক মাস পর বড় আপু একদিন মিমির অনেক দিনের শখ পূরণ করল। একটা ছোট্ট কোয়েল পাখি নিয়ে হাজির। ভার্সিটি থেকে আসার পথে আপু দেখল, একজন কোয়েল পাখি বিক্রি করার জন্য দাঁড়িয়েছিল। অমনি বড় আপু কিনে নেয়। প্রিয় পাখি পেয়ে মিমির সে কি আনন্দ! সারা দিন পাখিকে আদর করে, পাখির সঙ্গে গল্প করে, পাখিকে ছড়া শোনায়। এভাবেই মিমির সুন্দর দিন কাটতে লাগল।

একদিন সকালে মিমি ঘুম থেকে উঠে দেখে কোয়েল পাখি তখনো ঘুমিয়ে আছে। মিমির মনে ছ্যাত করে উঠল। দৌড়ে পাখির কাছে গেল। কোয়েলের গায়ে হাত দিয়ে দেখল, খুব ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে আছে সে। মিমি কোয়েলকে তার নাম ধরে ডাকল, এই কোয়েল, কোয়েল, কোয়েল সোনা...। এতক্ষণে কোয়েল আড়মোড়া ভেঙে মিমির দিকে তাকালো। কিন্তু অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক মনে হলো না।

 কোয়েলকে অসুস্থ দেখাচ্ছে। মিমি আপুকে ডেকে বলল তার প্রিয় পাখির অসুখের কথা। আপু বলল, ‘চিন্তার কিছু নেই ছোট, ঠিক হয়ে যাবে।’ কিন্তু মিমির কোয়েল পাখি ঠিক হয় না। দিন যত যায় কোয়েল পাখি দুর্বল হয়ে পড়ে। ক’দিন ধরে কিছুই খায় না। কোয়েলের এ অবস্থা দেখে মিমির খুব কষ্ট হয়। সেও ঠিকমতো খেতে পারে না, আগের মতো তার সঙ্গে গল্প করতে পারে না, ছড়া শোনাতে পারে না। ওদিকে কতদিন যে মিমি তার প্রিয় পাখির ডাক শোনে না! পাখির চিন্তায় মিমির কোনো কিছু ভালো লাগে না। স্কুলেও যায় না। বাবা বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ্য করলেন। পরের দিন সকালে কোয়েলকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো।

বাবা, আপু আর মিমি হাসপাতালে গেলেন। ডাক্তার কোয়েলকে দেখলেন। প্রয়োজনীয় ওষুধ দিলেন।

মিমি ও তার আপুর সেবায় কোয়েল পাখি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল। আবার আগের মতো সুন্দর করে ডাকতে লাগল। তাই দেখে মিমির মন আনন্দে নেচে উঠল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর