শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
উইলিয়াম শেকসপিয়র

এই বাড়িতে বসেই লিখেন রোমিও জুলিয়েট

এই বাড়িতে বসেই লিখেন রোমিও জুলিয়েট

বাড়িটি লন্ডনের সেন্ট হেলেনস চার্চের পাশে ৩৫ গ্রেট সেন্ট গেলেনস এলাকায়

শেকসপিয়রের নাটক ও কবিতা নিয়ে চর্চা, আলোচনা, গবেষণা থেমে নেই। ইংরেজ এই নাট্যকার এলিজাবেথ যুগে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন লন্ডনের নাট্যশালাগুলোতে। শেকসপিয়রের জীবন নিয়েও তাই পৃথিবীর নাটক ও সাহিত্যপ্রেমীদের আগ্রহ অনেক। কয়েক বছর আগে বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ নাট্যকার ও কবি উইলিয়াম শেকসপিয়রের বাড়ির সন্ধান পেয়েছেন এক গবেষক। তার নাম জিওফ্রে মার্শ। গবেষণায় বলা হচ্ছে, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট নাটক লেখার সময় তিনি লন্ডনের ওই বাড়িতে বাস করতেন। শেকসপিয়র ১৫৫৭ থেকে ১৫৯৮ সাল পর্যন্ত লিভারপুর স্ট্রিট স্টেশন এলাকায় থাকতেন এ বিষয়টি সবার জানা। কিন্তু ইতিহাসবিদ জিওফ্রে মার্শ গবেষণা করে শেকসপিয়রের লন্ডনের বাড়ির সঠিক অবস্থানের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছেন। জিওফ্রে মার্শ ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আলবার্ট মিউজিয়ামের নাট্যকলা বিভাগের পরিচালক। এক দশকের বেশি সময় ধরে এ বিষয়ে গবেষণার সিদ্ধান্ত সম্প্রতি হাজির করেছেন তিনি। তিনি বলছেন, তার বাড়িটি লন্ডনের সেন্ট হেলেনস চার্চের পাশে ৩৫ গ্রেট সেন্ট গেলেনস এলাকায় হবে। সে এলাকাটিতে এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। এত দিন মনে করা হতো, ১৫ শতকের শেষ দশকে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, আ মিডসামার নাইটস ড্রিম-এর মতো কালজয়ী নাটক ইস্ট লন্ডনের একটি বাড়িতে বসে লিখেছিলেন শেকসপিয়র। যেখানে এখন লিভারপুল স্ট্রিট স্টেশন অবস্থিত। গবেষক মার্শ তথ্যপ্রমাণ হাজির করে বলেছেন, এটি সঠিক তথ্য নয়। আসল বাড়িটি সেন্ট হেলেন গির্জার সমাধিস্থলের কাছে অবস্থিত। এখন এলাকাটি ৩৫ গ্রেট সেন্ট হেলেনস নামে পরিচিত লন্ডনের একটি অফিসপাড়া। লন্ডনের পরিচিত আকাশচুম্বী ভবন দ্য গেরকিনের খুব কাছেই এর অবস্থান। গবেষণা বলছে, ১৫৯০ সালে শেকসপিয়র এলিজাবেথিয়ান চামড়া শিল্পের একটি কোম্পানির ভাড়াটে ছিলেন। তার বাড়িতে কিছু সম্পদ ছিল যা সেন্ট হেলেনসের সমাধিক্ষেত্রের তত্ত্বাবধানে ছিল।

জিওফ্রে মার্শ বলছেন, শেকসপিয়রের লন্ডনের আবাসস্থলের ঠিকানা তার কাজ ও জীবন সম্পর্কে গভীরভাবে জানা যাবে। স্ট্র্যাটফোর্ড থেকে লন্ডনে স্থানান্তরিত হওয়ার পর তিনি সম্পদশালী হয়েছিলেন। সে সময় তিনি যাদের সঙ্গে বাস করতেন, তাদের কেউ ছিলেন প্রভাবশালী জননেতা, খ্যাতিমান ডাক্তার কিংবা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী।  ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওঠাবসা করার কারণে তিনি ইউরোপের অন্যান্য দেশে পরিচিত হয়ে ওঠেন।  আর ডাক্তারদের মাধ্যমে ইতালি ও জার্মানিতে তিনি নিজের পরিচিতি তুলে ধরতে পেরেছিলেন।

সর্বশেষ খবর