শনিবার, ২২ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ

গাজীপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আত্দঘাতী বোমা হামলার দায়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১০ সদস্যকে মৃতুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। আট বছর আগে ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নেতৃত্বে গাজীপুর আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আত্দঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় মারা যান আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনসহ আটজন। বোমা হামলাকারী জেএমবি সদস্য নাজিব নিজেও নিহত হন। ২০০৭ সালের ৪ জুলাই সিআইডি জেএমবি নেতা এনায়েত উল্লাহ জুয়েল, আরিফুর রহমান আরিফসহ ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে মামলাটি ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। মামলায় ৩০ ধরনের আলামত জব্দ এবং ৭০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। একাধিক আসামি এ জঙ্গি হামলার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তারা জঙ্গি হামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন এবং কীভাবে, কাদের সহযোগিতায় তারা জঙ্গি তৎপরতায় সংশ্লিষ্ট হন, সে সম্পর্কে স্বীকারোক্তি দেন। ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বৃহস্পতিবার তার ঘোষিত রায়ে চার আইনজীবীসহ আটজনকে হত্যার দায়ে যে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন তারা হলেন_ এনায়েতুল্লাহ ওরফে জুয়েল, আরিফুর রহমান আরিফ, মসিদুল ইসলাম মাসুদ ওরফে ভুট্টো, সাইদুর মুনসি ওরফে শাহিদুল, আবদুল্লাহ আল সোহাইল, নিজামুদ্দিন রেজা, তৈয়বুর রহমান, আদনান সামি জাহাঙ্গীর, আশরাদুল ইসলাম ওরফে আব্বাস খান ও শফিউল্লাহ তারেক। মামলার আসামিদের মধ্যে শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, খালেদা সাইফুল্লাহ সিরাজসহ চারজনকে ঝালকাঠির বিচারক হত্যা মামলার আগেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আরেক আসামি মোল্লা ওমর শাকিল কুমিল্লায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। ধর্মীয় শাসন কায়েমের নামে জঙ্গিবাদের পথ বেছে নিয়েছিলেন জেএমবির সদস্যরা। শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে রক্তপাতের যে পথ তারা বেছে নিয়েছিলেন তা তাদের নিজেদের জন্যও যে অকল্যাণ বয়ে এনেছে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ তারই প্রমাণ। এ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাই শিক্ষা নিলে তা এই রায়কে অর্থবহ করে তুলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

সর্বশেষ খবর