রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

পাহাড়ে অশান্তির থাবা

পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্ব ও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পাহাড়ে অশান্তির থাবা বিস্তার করছে। ১৯৯৭ সালে পাহাড়ি সংগঠন জনসংহতি সমিতি সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এ চুক্তি পাহাড়ে বসবাসকারী শান্তিকামী পাহাড়ি বাঙালি দুই সম্প্রদায়ের সমর্থন পেলেও সক্রিয় হয়ে ওঠে বিভেদকামীরা। বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর পরস্পরবিরোধী তৎপরতা শান্তি চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং এ এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। পাহাড়ে অশান্তির কারণে পাহাড়ি বাঙালি নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও স্বার্থবাদীদের জন্য তা কাঙ্ক্ষিত বিষয় হয়ে দেখা দেয়। বিভেদের বিষমন্ত্রকে সম্বল করে তারা লাভবান হওয়ার সুযোগ পায়। শান্তিচুক্তি সে সুবিধায় বাদ সাধে। ফলে ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তির পর থেকে বিভেদকামী শক্তির প্রতিভূ বিভিন্ন সংগঠন বাঙালি ও পাহাড়িদের অধিকার ক্ষুণ্নের নামে শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করে আসছে এবং পরস্পরবিরোধী কর্মসূচি দিয়ে চলছে। চুক্তি বাস্তবায়নের শম্বুকগতি শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষরদানকারী দুই পক্ষ সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে বিরাজ করছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশ বিনষ্টের যে নানামুখী চক্রান্ত চলছে তা উদ্বেগজনক। এ এলাকার উন্নয়ন এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের স্বার্থে শান্তির প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী যে কোনো চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। শান্তিচুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে লিপ্ত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা মনে করি পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ভূমি বিরোধের সম্মানজনক মীমাংসা করা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টির পেছনে এ বিরোধ ভূমিকা রাখছে। শান্তিচুক্তির শর্তানুযায়ী ভূমি বিরোধ অবসানে সব

পক্ষকে সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর