রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর সরকারের থাবা

শাহীন মোহাম্মদ

সংবাদপত্রের খবর থেকে জানা গেছে, সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করার জন্য ব্যাংকে তাদের শেয়ার ৩% থেকে বাড়িয়ে ৫১% করার উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কয়েক সপ্তাহ আগে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে_ 'গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ারের পরিমাণ না বাড়াতে পারলে সরকার তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।' এখন অর্থ মন্ত্রণালয় সেই চেষ্টাই করছে। গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের রিপোর্টেও সেই সুপারিশ করা হয়েছে।

পাঠকের মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগতে পরে_ 'সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য এত মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন?' এর সঠিক উত্তর শুধু অর্থমন্ত্রী বা সরকারের অন্য নীতি-নির্ধারকরা বলতে পারবেন। আমরা শুধু অনুমান করতে পারি।

প্রথমে সরকারের নীতির একটি স্ববিরোধিতা নিয়ে আলোচনা করা যাক। একদিকে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত নানা ব্যাংকের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করেছে। সেক্ষেত্রে একটি বিশেষায়িত প্রাইভেট ব্যাংকের ওপর নতুন করে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য কেন চেষ্টা করছে? এটা কি সরকারের 'ব্যাংক নীতির' স্ববিরোধিতা নয়? গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার কম হওয়ায় তার কাজে কি কোনো বাধা এসেছে? গ্রামীণ ব্যাংক কি এ জন্য গরিব মানুষদের ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না? মুনাফা করতে পারছে না? প্রতি বছর লোকসান দিচ্ছে? সরকার বা বিদেশি সংস্থা থেকে ঋণ নিচ্ছে? সোনালী ব্যাংকের মতো বড় মাপের কোনো দুর্নীতির খবর পাওয়া গেছে? ব্যাংকের কোনো টাকা নয়ছয় হয়েছে? কী ঘটেছে গ্রামীণ ব্যাংকে, যে সরকার তার শেয়ারের পরিমাণ বাড়িয়ে তার ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চক্রান্ত করছে?

উল্টোভাবে যদি দেখি গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকটি প্রতি বছর প্রচুর টাকা মুনাফা করেছে। ব্যাংকটি ১৯৯৫-এর পর থেকে সরকার বা বিদেশি সংস্থা থেকে কোনো টাকা ধার বা অনুদান নেয়নি। ব্যাংকটি '৯৫-এর পর থেকে নিজের সঞ্চয় ও মুনাফা দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। ব্যাংকটি ক্ষুদ্র ঋণের একটি সফল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে অনুকরণীয় হয়েছে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে ব্যাংকার ও সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বাংলাদেশে এসে গ্রামীণ ব্যাংক মডেল ও এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দেখে যাচ্ছে। সর্বোপরি ২০০৬ সালে 'গ্রামীণ ব্যাংক'-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সম্মান বয়ে এনেছিল। 'গ্রামীণ ব্যাংক' বিশ্বে একমাত্র বেসরকারি সংস্থা, যা নোবেল পুরস্কার পেয়েছে।

এসব অর্জনকে সরকারের কাছে খুব ক্ষুদ্র বলে কেন মনে হচ্ছে জানি না। গ্রামীণ ব্যাংক এসব সম্মান ও স্বীকৃতি অর্জন করেছে সরকারের ৩% শেয়ার রেখেই ও সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই। যে সোনালী ব্যাংকের ওপর সরকারের ১০০% নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, নিজের আপন লোকদের পরিচালনা বোর্ড ও প্রধান নির্বাহী করা হয়েছে, সেই সোনালী ব্যাংকে শুধু 'হল মার্ক' নয় ও নানা রকম দুর্নীতি এবং কেলেঙ্কারির কথা প্রায়শ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হচ্ছে। শুধু কি সোনালী ব্যাংক? জনতা, অগ্রণী, কৃষি, বেসিক প্রতিটি সরকারি ব্যাংক সম্পর্কে নানা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার খবর প্রায়শই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হচ্ছে। এসব ব্যাংকে সরকারের অনুগত ও পছন্দমতো ব্যক্তিরা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য। তাতেও দুর্নীতি ঠেকানো সম্ভব হয়নি। সরকার তার নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারি ব্যাংকগুলোতে শুদ্ধি অভিযান না চালিয়ে বহু প্রশংসিত বিশেষায়িত প্রাইভেট ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ও নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য কেন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে তা অনেকের কাছেই এক বিরাট প্রশ্ন। নিজেদের ১০০% নিয়ন্ত্রণে রাখা ব্যাংকগুলোকে সরকার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে পারছে না কেন তার জবাব কি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রী দেবেন?

শুরুতেই বলেছি, সরকার কেন গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় তার সঠিক উত্তর সরকারই দিতে পারবে। আমরা শুধু অনুমান করতে পারি। সরকারের তথা প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর এরকম একটা ধারণা হয়েছে, 'গ্রামীণফোন' ও 'গ্রামীণ টেলিকম' গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সবাই জানেন, 'গ্রামীণফোন' বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক বেসরকারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। যার ৩৪% শেয়ার রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের। সরকারের এই ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর ধারণা হয়েছে, যদি গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়, যদি আপন লোকদের ব্যাংকের বোর্ডে ও ব্যবস্থাপনায় আনা যায় তাহলে ধাপে ধাপে 'গ্রামীণফোন' ও 'গ্রামীণ টেলিকমের' ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। তারপর 'গ্রামীণফোনের' বিরাট অঙ্কের মুনাফার ওপর থাবা বসানো কঠিন কাজ হবে না। খুব লম্বা পরিকল্পনা, সন্দেহ নেই। কিন্তু 'গ্রামীণ ব্যাংক' দখল করলেও 'গ্রামীণ টেলিকম' দখল করা যে সম্ভব হবে না তা এই গোষ্ঠী হয়তো জানেন না। কারণ গ্রামীণ টেলিকম একটি পৃথক আইনানুগ প্রতিষ্ঠান। আর 'গ্রামীণফোনেও' গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো শেয়ার নেই।

শোনা যায় এই পরিকল্পনা ঢাকায় হয়নি। আমেরিকায় হয়েছে। একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক এই চক্রান্তের মূল হোতা। নিউইয়র্ক ও ঢাকায় এমন কথা শোনা যায়। তার সঙ্গে বর্তমান সরকারের একটি ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবশালী অংশ জড়িত। সরকারের বাকি মন্ত্রীরা এসব তেমন বিস্তারিত জানেন বলে মনে হয় না। এমনকি অর্থমন্ত্রীও এর অংশীদার নন। তিনি শুধু সেই প্রভাবশালী গ্রুপটির আজ্ঞা পালন করছেন মাত্র। আজ্ঞা পালন না করলে এত 'রাবিশ' কথা বলার পর তিনি বর্তমান পদে থাকতে পারতেন না। সরকারি পদের কাছে অনেকেই অসহায়।

রাজনীতিতে ও সরকারে সব পরিকল্পনা সব সময় বাস্তবায়িত হয় না। আবার অনেক সময় হয়েও যায়। এটা ভাগ্য ও পরিস্থিতির ওপর অনেকটা নির্ভর করে। যারা গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে খেলছেন তারাও তাদের ভাগ্য ও পরিস্থিতির ওপর ভরসা করে গুঁটি চালছেন। শেষ পর্যন্ত কিস্তি মাৎ হবে কিনা তা একেবারেই অনিশ্চিত। আগামী সংসদ নির্বাচনে কোন দল জয়লাভ করে সেটাও একটা বড় ফ্যাক্টর। শেষ পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের কী হবে তা এখন কেউ বলতে পারে না। তবে যারা এই গেম খেলছেন তাদের সবাই কিন্তু দেখছেন। তাদের বক্তব্য, বিবৃতি, মন্তব্য সবই রেকর্ডে থাকছে। কোনো না কোনোদিন গ্রামের গরিব মহিলাদের কাছে তাদের জবাব দিতে হবে। তখন 'আমি কিছু করিনি', 'এছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না', 'প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে আমি করেছি', 'না করলে আমার চাকরি থাকত না'_ এসব কথা বলে কেউ পার পাবে বলে মনে হয় না। সবাই যেন মনে রাখেন, গ্রামীণ ব্যাংক গরিব মহিলাদের মালিকানায় একটি বেসরকারি ব্যাংক। এ ব্যাংকের একটি টাকাও (মুনাফা) তারা ছাড়া আর কেউ নিতে পারে না। গরিব মহিলাদের সেই টাকার ওপর যারা থাবা বসাতে চাচ্ছে তারা সহজে নিস্তার পাবে বলে মনে হয় না। কিন্তু নেপথ্যে থেকে যিনি পরিকল্পনা করেছেন ও কলকাঠি নাড়ছেন তিনি প্রকাশ্যে কোনো কথা বলেননি। কাজেই ভবিষ্যতে তার ওপর কেউ দোষ চাপাতে পারবেন না। তার লিখিত নির্দেশও কেউ দেখাতে পারবেন না। ফেঁসে যাবেন তারাই, যারা এখন নানা সরকারি পদে রয়েছেন।

বাংলাদেশে মহিলাদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের জন্য সোচ্চার নেত্রী ও সংগঠনের অভাব নেই। কিন্তু ৮০ লাখ দরিদ্র মহিলার মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে একটি গোষ্ঠী সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে, এ ব্যাপারে মহিলা সংগঠন ও নেত্রীদের কোনো ভূমিকা চোখে পড়ে না। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে গ্রামের বিত্তহীন, গরিব ও ভাগ্য বিড়ম্বিত মহিলারা আজ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামের গরিব মহিলারা একটি বিশাল ব্যাংকের মালিকানা (শেয়ার) পেয়েছেন। তাদের নির্বাচিত পরিচালকরা বোর্ডে তাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এগুলোকে কি নারী নেত্রীরা ক্ষমতায়ন মনে করেন না? গ্রামের গরিব মহিলাদের এই দুঃসময়ে শহুরে নারী নেত্রীদের ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য নয়।

একটি সফল ব্যাংককে সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে চাচ্ছে এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদদের তেমন বক্তব্য দেখা যায়নি। (ধন্যবাদ ড. হোসেন জিল্লুর, মামুন রশীদ) গ্রামীণ ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের মতো হলেই কি অর্থনীতিবিদরা খুশি হতেন? অর্থনীতিবিদরা কি মনে করেন গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার বাড়ানো ঠিক হবে? ঠিক হলে কী কী কারণে ঠিক হবে? আশা করি অর্থনীতিবিদরা গ্রামীণ ব্যাংককে একটি সরকারি রুগ্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান মনে করেন না। যে শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের সহায়তা দরকার।

একাডেমিক জগতের অনেকেই গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে তাদের সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারাও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু অনেকেই এখনো নীরব। কয়েকটি পত্রিকা ও টিভি তথ্যবহুল ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। এঁরা কেউ গ্রামীণ ব্যাংক দ্বারা উপকৃত হননি। হওয়ার সুযোগও নেই। তবু তারা গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সোচ্চার হয়েছেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের এই সংকটে অনেক রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, নারী নেত্রী, নাগরিক সমাজের নেতারা (যারা দেশের নানা সংকটে সোচ্চার থাকেন) তেমন সোচ্চার হননি। এটা এক ধরনের সুবিধাবাদিতা। তারা এ ব্যাপারে কথা বলে সরকারের কাছে অপ্রিয় হতে চান না। কিন্তু তারা কি এই 'সরকারিকরণকে' সমর্থন করেন? যদি করেন তাহলে সেটাও তারা মিডিয়াতে বলুক। কেন সমর্থন করছেন তাও বলুক। জনগণ জানতে পারবেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সমস্যা কী ও সরকারিকরণে ব্যাংকের তথা গরিব মানুষের কী উপকার হবে। গ্রামীণ ব্যাংক কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটা সমষ্টিগত সম্পত্তি। এর মালিকরা দেশের গরিব মহিলা। গরিবদের স্বার্থের ব্যাপারে যারা মুখে খৈ ফোটান তাদের নীরবতা সত্যি বিস্ময়কর!

অর্থনীতির যে কোনো ব্যাখ্যায় গ্রামীণ ব্যাংক একটি ব্যতিক্রর্মী, সফল ও দারিদ্র্য বিমোচনে যুগান্তকারী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান। নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্র ঋণ এবং গ্রামীণ ব্যাংক যে কোনো বিবেচনায় একটি সফল কর্মসূচি। অর্থনীতিবিদ ও নারী নেত্রীরা ক্ষুদ্র ঋণের কিছু সীমাবদ্ধতা অবশ্যই বের করতে পারবেন। কিন্তু দারিদ্র্য বিমোচনে ও গরিব মহিলাদের ক্ষমতায়নে গ্রামীণ ব্যাংক বা ক্ষুদ্র ঋণের চাইতে কার্যকর কোনো একক প্রতিষ্ঠান বা একক কর্মসূচি এখনো এ দেশে কেউ প্রচলন করেনি। এক চামচ এক চামচ করে বহু উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে হয়েছে। কিন্তু ৮০ লাখ গরিব মহিলার জীবনে চলমান ইতিবাচক পরিবর্তন আনার মতো কোনো কর্মসূচি, কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো সংগঠন এযাবৎ দিতে পারেনি। এই বাস্তবতা যেন আমরা ভুলে না যাই।

শেষ পর্যন্ত সরকারের এ ষড়যন্ত্র সফল হবে কিনা জানি না। তবে বাংলাদেশের সচেতন মানুষকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আবেদন জানাই।

লেখক : একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা

সর্বশেষ খবর