রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

মালালার আহবান

ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াকু ভূমিকা পালনকারী পাকিস্তানের সাহসী কন্যা মালালা ইউসুফজাই বলেছেন, জঙ্গিরা বই-কলমকে ভয় পায়। হাতে বই আর কলম তুলে নেওয়ার আহবান জানিয়ে মালালা বলেন, এগুলোই সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। একটি শিশু, একজন শিক্ষক, একটি কলম ও একটি বই পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে। ধর্মান্ধরা অন্ধকার জগতের বাসিন্দা। জ্ঞানের আলোকে ভয় পায় এই নোংরা জীবেরা। সে জন্য তালেবানি দেশ পাকিস্তান-আফগানিস্তান শুধু নয়, বাংলাদেশেও নারী শিক্ষা ও নারী অধিকারের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে কূপমণ্ডূকতার প্রতিভূরা। বিদেশি প্রভুদের ইশারায় তারা দেশের অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে তাদের গাত্রদাহ বেড়েই চলেছে। জয়া জননীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করে নিজেদের লোভী ও

কুৎসিত চেহারাকেই তারা জানান দিয়েছে। ধর্মান্ধতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার অপনীতি পাকিস্তানকে জাহান্নামের বর্ধিত অংশে পরিণত করেছে। মসজিদে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে জঙ্গি নামের অন্ধকারের কীটরা। আল্লাহর ঘরও তাদের জিঘাংসা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। ধর্মান্ধরা কতটা ধর্মভীরু সে প্রশ্নও উদয় হচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ডে। মালালার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছিল তালেবান নামের জঙ্গিরা। মহামূর্খরা বই ও কলমকে তাদের শত্রু বলে ভাববে এমনটিই তো স্বাভাবিক। মালালা অন্ধকারের জীবদের হুমকিকে পরোয়া করেনি। প্রতিবাদী এই কিশোরী শিক্ষার অধিকার রক্ষা এবং জঙ্গিবাদবিরোধী সংগ্রামে আজ সারা দুনিয়ার কাছে আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছেন। তার ষোড়শ জন্মদিনে জাতিসংঘ শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ সম্মেলন করে নারী অধিকারের প্রতি সভ্য দুনিয়ার অঙ্গীকারের কথাই ঘোষণা করেছে। আমাদের বিশ্বাস, মালালার প্রতি জাতিসংঘের সম্মান দুনিয়ার সব

অধিকারকামী নারীর প্রতি বিশ্বমানবতার সম্মানের নামান্তর। ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদের কুৎসিত দৈত্যকে পদপিষ্ট করতে এ সম্মাননা সাহসী

মানুষকে উৎসাহ জোগাবে এমনটি কাম্য।

 

 

সর্বশেষ খবর