রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা

রাজধানীতে অপরাধপ্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে রাজধানীতে অন্তত ১৫টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হত্যাকাণ্ডের হোতাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। হত্যা মামলার আসামিদের ধরার ব্যাপারে পুলিশি তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। গত এক মাসে সংঘটিত ১৫টি হত্যা মামলায় ৬০ জনকে আসামি করা হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ১০ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের শিথিল তৎপরতায় নিহতদের স্বজনদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। পুলিশের কাছে তারা বার বার ধরনা দেওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক নানা কর্মসূচি ও প্রটোকলে ব্যস্ত থাকায় পুলিশের পক্ষে মামলার তদন্ত চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও সময়ের অভাব সংকট সৃষ্টি করছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য পুলিশের এক বড় অংশ ব্যস্ত থাকায় অপরাধীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে সব ধরনের অপরাধই সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক মাসে ছিনতাই-ডাকাতির পাশাপাশি বেশ কিছু চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ সময়ে এক পুলিশ দম্পতি ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা খুন হয়েছেন। রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার অবনতি জনমনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দিচ্ছে। জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে, সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে, এমনটি কাঙ্ক্ষিত। অবৈধ অস্ত্র ও সন্দেহভাজন অপরাধীদের আটক করতে পুলিশি অভিযান চালানোর কথাও ভাবা উচিত।

সর্বশেষ খবর