রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

টাইগার-কিউই টেস্ট ম্যাচ

সফররত নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের বড় রানকেও অতিক্রম করার সাহস দেখায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এ টেস্টটি ড্র হলেও বাংলাদেশের অর্জন ছিল আকাশছোঁয়া। চট্টগ্রাম টেস্টে তরুণ ক্রিকেটার সোহাগ গাজী একই টেস্টে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি ও বল হাতে হ্যাটট্রিক করতে সক্ষম হন। টেস্টের ১৩৬ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের সাফল্য এটিই প্রথম। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সাফল্য ঢাকার মিরপুর টেস্টকে আলাদা মাত্রা দান করে। বাংলাদেশ এ টেস্টে শুধু ভালো খেলাই নয়, জয়ী হওয়াকে তাদের টার্গেট হিসেবে ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয় ইনিংসে আশাজাগানিয়া হয়ে আবিভর্ূত হয়। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ তিন উইকেটে ২৬৯ রান করে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১১৪ রানে এগিয়ে থাকে। আশা করা হচ্ছিল, পঞ্চম দিনের প্রথম ভাগে বাংলাদেশ দল দ্রুত আরও ২০০ রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জের দিকে ঠেলে দেবে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পঞ্চম দিনে খেলা শুরু না হওয়ায় ঢাকার মিরপুর টেস্টই শুধু নয়, দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও ড্র হয়ে যায়। টেস্ট সিরিজ ড্র হলেও বাংলাদেশের অর্জন খুব একটা কম নয়। চট্টগ্রাম ও ঢাকা উভয় টেস্টে মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি বাংলাদেশকে নতুন মাত্রা দান করেছে। চট্টগ্রাম টেস্টে সোহাগ গাজীর বিশ্ব রেকর্ড যত দিন টেস্ট ক্রিকেট থাকবে ততদিনই জ্বল-জ্বল করে জ্বলবে। ঢাকায় সাকিবের অনবদ্য বোলিং, তামিম ইকবালের খোলস বদলে টেস্ট মেজাজে খেলা বাংলাদেশের জন্য আশাজাগানিয়া ঘটনা। বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, এ দলের খেলার ধারাবাহিকতা নেই। কিন্তু চট্টগ্রামের পর ঢাকার মিরপুর টেস্টে দায়িত্বশীল খেলার ঐতিহ্য রেখেছে টাইগাররা। আমরা আশা করব, ওয়ান ডে ও টি টুয়েন্টি ম্যাচেও তা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ দলের উত্থানের জন্য ধারাবাহিক সাফল্যের প্রয়োজনীয়তাই আজ সবচেয়ে বেশি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ ড্র হয়েছে সত্যিকারের ড্রয়ের মর্যাদাকে ধরে রেখে। খেলার ফলাফল দুই পক্ষের যে কারও দিকে ঝুলে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ যে নিউজিল্যান্ড দলকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছে সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশ দলের এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই টিমস্পিরিটের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

সর্বশেষ খবর