সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
ইতিহাস

প্রাচীন মিসরের সাহিত্যচর্চা

প্রাচীন মিসরের সাহিত্যচর্চা ছিল মূলত ধর্মভিত্তিক। এর প্রমাণ পাওয়া যায় 'মেমফিস ড্রামা', 'রয়াল সান হিম' প্রভৃতিতে। মিসরীয় সাহিত্যের লেখার মধ্যে যা প্রকাশিত হয়েছে তাতে মিসরীয় সভ্যতার ক্রমবিকাশের পরিচয় পাওয়া যায়। এসব লেখার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল মিসরীয় জীবনধারার প্রেম, ভালোবাসা, মদ, নারী এবং সংগীত। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাচীন মিসরীয়দের বহু অবদান রয়েছে। জোতির্বিদ্যা ও অংকে তাদের পারদর্শিতা ছিল। এই দুই শাখায় তাদের অসামান্য অবদান প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার একটি উল্লেখযোগ্য দিক। অবশ্য তারা এ ক্ষেত্রে মেসোপটেমীয়দের সমকক্ষ ছিল না। তারা যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের মতো বিষগুলোতে অভ্যস্ত ছিল। বীজগণিত অপেক্ষা জ্যামিতিক বিষয়াদিতে তাদের জ্ঞান বেশি ছিল। পিরামিডের নির্মাণকৌশলে তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। চিকিৎসাবিদ্যায়ও তাদের জ্ঞান ছিল। তারা চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ ও নক্ষত্রের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে গণনা কাজ করত। এভাবে সৌর পঞ্জিকা তৈরি করে তারা তাদের কৃষি-পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। তারা জোয়ার-ভাটা ও বন্যার কারণ এবং সময় সম্বন্ধে হিসাব রাখত। এরূপ সারা বিশ্ব যখন অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখন সভ্যতার ক্ষেত্রে মিসরীয়দের অবদান সত্যই বিস্ময়কর।

সর্বশেষ খবর