শিরোনাম
রবিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
জীব-বৈচিত্র্য

মাছের রাজা ইলিশ

মাছের রাজা ইলিশ

মাছের রাজা ইলিশ। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। শুধু দেখতেই নয় গুণেও ইলিশের জুড়ি নেই। প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে রয়েছে ২১.৮ গ্রাম প্রোটিন, ২৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩.৩৯ গ্রাম শর্করা, ২.২ গ্রাম খনিজ ও ১৯.৪ গ্রাম চর্বি। এ ছাড়া বিভিন্ন খনিজ, খনিজ লবণ, আয়োডিন ও লিপিড রয়েছে। বিভিন্ন প্রাণীর প্রতি ১০০ গ্রাম মাংসে খাদ্যশক্তির উপস্থিতির তুলনায় ইলিশ মাছে রয়েছে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশক্তি। অন্যান্য মাংসের সঙ্গে ইলিশের তুলনা করলে দেখা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের মাংসে খাদ্যশক্তির পরিমাণ ১৩০ কিলোক্যালরি, মুরগির মাংসে ১০৯ কিলোক্যালরি, খাসির মাংসে ১১৮ কিলোক্যালারি ও কচ্ছপের মাংসে ৯৬ কিলোক্যালারি। তবে সর্বাধিক পরিমাণ খাদ্যশক্তি রয়েছে ইলিশ মাছে, ২৭৩ কিলোক্যালরি। শরীর গঠন ও স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে ইলিশ মাছ প্রোটিন ও অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করে। ফ্যাটি এসিডের জন্য লিপিড খুবই প্রয়োজনীয় এবং দ্রবণীয় স্নেহজাত ভিটামিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইলিশে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ডি। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং ডি শিশুদের রিকেট রোগ থেকে রক্ষা করে। খনিজ, বিশেষ করে ফসফরাস দাঁত ও লৌহ স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। পুষ্টিগুণ তো ইলিশের রয়েছেই, সেই সঙ্গে রয়েছে ওষুধি গুণও। ওমেগা-৩ নামে এক ধরনের তেল রয়েছে ইলিশে যা হৃদরোগ প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডে ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা গবেষণায় প্রমাণ পেয়েছেন, ভ্রূণের উপযুক্ত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইলিশের তেল অত্যন্ত উপকারী। হৃদরোগ কমানোর ক্ষেত্রে এ তেলের ক্ষমতা অপরিসীম। -আফতাব চৌধুরী

 

সর্বশেষ খবর