শনিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

পুরান ঢাকায় নান্দনিক প্রকল্প

রাজধানীর পুরান ঢাকাকে বলা হয় বড় আকারের একটি বস্তি। ঘন জনসংখ্যার এই এলাকায় ঘোরাফেরা কিংবা স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো জায়গার অভাবও প্রকট। পুরান ঢাকাকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে রক্ষা করতে বুড়িগঙ্গার কূলঘেঁষে হাতিরঝিলের মতো একটি নান্দনিক প্রকল্প করতে যাচ্ছে সরকার। পুরান ঢাকার সদরঘাটের শ্মশানঘাট থেকে শ্যামপুর হয়ে বাদামতলী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ওই এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীর থেকে ইতিমধ্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এলাকায় নান্দনিক প্রকল্প গ্রহণ করা হলে তা যাতায়াত ও বিনোদনসহ বহুমুখী উদ্দেশ্য পূরণে সফল হবে। বুড়িগঙ্গার অস্তিত্ব রক্ষায়ও প্রকল্পটি ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প প্রণয়নে গঠন করা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের আট সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি। স্মর্তব্য, বুড়িগঙ্গার উদ্ধারকৃত নদীতীর দখলমুক্ত রাখতে গত ১৪ ডিসেম্বর নৌ-পরিবহনমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের বিস্তীর্ণ এলাকা খনন করে হাতিরঝিলের মতো একটি নান্দনিক প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুড়িগঙ্গার উদ্ধারকৃত তীর এলাকায় নান্দনিক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগটি গুরুত্বের দাবিদার। প্রধানমন্ত্রী গত বছরের জুলাইয়ে ১৩টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করা, মহানগরীর চারদিকের নদীগুলো পুনরুদ্ধার, বৃত্তাকার নৌ ও সড়কপথ তৈরি এবং হাতিরঝিলের মতো নান্দনিক প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহুমুখী উদ্দেশ্য পূরণের নান্দনিক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে সামনে রেখে। আমরা আশা করব, হাতিরঝিলের মতো নতুন প্রকল্পটি এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে যোগাযোগ ও বিনোদন দুই ক্ষেত্রেই কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। প্রকল্প প্রণয়নে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তটিও প্রশংসার দাবিদার।

সর্বশেষ খবর