সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

তিন বন্দরের চালচিত্র

চলমান হরতাল-অবরোধ সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর সচল রয়েছে স্বাভাবিক সময়ের মতোই। বরং জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি- রাজনৈতিক অস্থিরতার দুই মাসে দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং ১১ শতাংশ বেড়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মংলা এবং দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের চিত্র তুলনামূলকভাবে হতাশাজনক। এ দুটি বন্দর চালু থাকলেও নাশকতার ভয়ে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। হামলা ও ভাঙচুরের আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা মংলা বন্দরে পণ্য পাঠানো কিংবা সেখান থেকে পণ্য আনতে সংশয়ে ভুগছেন। স্থলবন্দর বেনাপোলের ক্ষেত্রে অবস্থা আরও নাজুক। হরতাল-অবরোধের দুই মাসে বেনাপোল কাস্টম হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। মংলা বন্দর কর্র্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও বন্দর থেকে বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহনে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে, গত শনিবার বন্দরে পাঁচটি পণ্যবাহী জাহাজ অবস্থান করছে। জেটিতে প্রায় আড়াই হাজার কনটেইনার আটকে রয়েছে। আমদানি পণ্যের ১ হাজার ২০০ কনটেইনার ডেলিভারির অপেক্ষায় রয়েছে। কিছু কনটেইনার ভর্তি পণ্য জাহাজিকরণের অপেক্ষায়। চলমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে মংলা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি প্রায় ১০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। স্মর্তব্য, মংলা বন্দর থেকে প্রধানত কাঁচা পাট, পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, টাইলস ও হাড়ের গুঁড়া রপ্তানি হয়। আমদানি হয় খাদ্যসামগ্রী, গাড়ি ও সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল। এর মধ্যে কাঁচা পাট, পাটজাত পণ্য ও হিমায়িত খাদ্য ফ্যাক্টরি থেকে বন্দরে পৌঁছানো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে মালামাল আনা-নেওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রতিবন্ধকতার কারণে রাজস্ব আয় হ্রাস পেয়েছে। দেশের অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ ডেকে আনছে। যার অবসানে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

 

সর্বশেষ খবর