রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

টাইগারদের জয়

সফররত পাকিস্তানি ক্রিকেট দলকে প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে শ্রেয়তর দল হিসেবে তারা সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে দিল ৭৯ রানের ব্যবধানে। এ জয়ের মাধ্যমে ওয়ানডে সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেল টাইগাররা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দল প্রথম জয় পেয়েছিল আজ থেকে ১৬ বছর আগে। বাংলাদেশ যখন আইসিসির সহযোগী সদস্য সে সময়ে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল টাইগাররা। তারপর ১৬ বছর ধরে একনাগাড়ে পাকিস্তানের কাছে টাইগারদের শুধু হার মানতে হয়েছে। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের সামনে ৩২৭ রানের পাহাড় তুলেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সে দিক থেকে শুক্রবার মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টাইগাররা এক ভিন্ন ইতিহাসের সূচনা করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টাইগাররা করেছে তাদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান। একই খেলায় দুটি সেঞ্চুরি করারও কৃতিত্ব দেখিয়েছে সাকিব বাহিনী। এবারের বিশ্বকাপে উজ্জীবিত দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল টাইগাররা। সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছে টাইগাররা সফররত পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের প্রথম ম্যাচে। স্মর্তব্য, দুই দলের একটি মাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও পাকিস্তান দল হেরেছে বিসিবি একাদশের কাছে। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের এই অবিস্মরণীয় জয়ের জন্য তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের দাপুটে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব অনস্বীকার্য। এই দুই সেঞ্চুরির কারণেই বাংলাদেশ দল ৩২৯ রানের বিশাল স্কোর গড়তে সক্ষম হয়। পাকিস্তানকে টাইগাররা যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেয় তা থেকে উত্তরণের কোনো সুযোগই তারা পায়নি। পাকিস্তান দলের নতুন অধিনায়ক আতাহার আলীকে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম খেলায় হার মানতে হলো। ব্যক্তিগতভাবে ৭২ রানের ভালো ইনিংস খেলেও দলকে জিতাতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশ দলের এই বিশাল জয়কে আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করছি এই জয় টাইগারদের মনোবল আরও চাঙ্গা করবে। সিরিজ জয়ের লড়াইয়ে এনে দেবে বাড়তি অনুপ্রেরণা। আমরা আশা করব, শুধু সিরিজ জয় নয়, নিজেদের ওপর আস্থা রাখার যে সাহস তারা অর্জন করেছেন সেটিকে যে কোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর