রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

রাজধানীতে ছিনতাই বাড়ছে

সিটি নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীতে যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার চাদর বিছানো তখন হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ দুর্বৃত্তরা বেপরোয়া হয়েও উঠেছে। গুলি করে তারা ছিনিয়ে নিচ্ছে মানুষের মোটা অঙ্কের টাকা। এমনকি এক তরুণীর কব্জি কেটে মোবাইল ফোন সেট ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে ছিনতাই হলেও তার একটি সামান্য অংশই পুলিশের গোচরে আসছে। পুলিশকে জানিয়ে হয়রান হওয়াই সার- এমন একটি ধারণা ভুক্তভোগীদের মধ্যে শক্তভাবে বিরাজ করায় থানায় ছোটখাটো কোনো ছিনতাইয়ের ব্যাপারে অভিযোগ দায়েরের ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযোগ না নিয়েই থানার বারান্দা থেকে ভুক্তভোগীদের বিদায় দেয় এমন অভিযোগও ওপেন সিক্রেট। পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজধানীতে চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে বিভিন্ন থানায় ছিনতাই ও দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে ৫৭টি। তবে মামলার বিপরীতে উল্লেখযোগ্য কোনো আসামি কিংবা মালামাল উদ্ধার হয়নি বললেই চলে। পুলিশের নথিপত্রে ছিনতাইয়ের যে সব ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে তা প্রকৃত চিত্রের খণ্ডাংশ মাত্র। পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর ৪৯টি থানার ১৩৫টি স্পটে ছিনতাই নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পুলিশ স্থানগুলো চিহ্নিত করতে পারলেও ছিনতাই ঠেকাতে পারছে না। নির্বাচন উপলক্ষে যখন রাজধানীতে পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি তৎপরতা চলছে তখন ছিনতাইয়ের ঘটনা কেন বাড়ছে তা নিয়ে নানা মুনির নানা মতের অবকাশ রয়েছে। সে বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, নির্বাচন উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বৃদ্ধি আইনশৃঙ্খলার জন্য একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। মানুষের নির্বিঘ্নে পথ চলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা। বিশেষ করে ভোরে এবং সন্ধ্যার পর তাদের দৌরাত্দ্য বাড়ছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ছিনতাইকারীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য সংস্থার সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর