বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন

বিতর্কিতদের বাদ দেওয়াই হবে বাঞ্ছনীয়

বিতর্কিত ও অদক্ষদের বাদ দিয়ে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠিত হবে জনমনে এমন আশাই সৃষ্টি হয়েছিল বেশ কিছু দিন ধরে। সে আশা পূরণ না হলেও মঙ্গলবার বাড়ানো হয়েছে মন্ত্রিসভার পরিসর। এক মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে। আগে থেকে থাকা দুই প্রতিমন্ত্রী পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন একই সঙ্গে। বিতর্কিতদের বিদায়ের প্রত্যাশা পূরণ না হলেও স্বীকার করতেই হবে মন্ত্রিসভায় নতুন যারা এসেছেন, তারা 'বিতর্কিত' হিসেবে পরিচিত নন। প্রতিমন্ত্রী থেকে যারা পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি পেলেন তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। স্মর্তব্য, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী ছিলেন। এরপর গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি শূন্য থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান এ এইচ মাহমুদ আলী ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মো. নজরুল ইসলাম হিরু। অন্যদিকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবকে মন্ত্রণালয় বদলিয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য গত বছরের ১২ অক্টোবর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণ করা হয়। সর্বশেষ ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। নতুন এলজিআরডি মন্ত্রী করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। নতুন তিনজনের যোগদানের মধ্য দিয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভায় ৩২ মন্ত্রী, মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ দূত ও পাঁচজন উপদেষ্টা, ১৮ প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী হলেন। সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে মন্ত্রিসভার রদবদল প্রধানমন্ত্রীর একান্ত এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিচালনায় তিনি যে কোনো সময় কাউকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া এবং অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতাও রাখেন। সে ক্ষমতা চর্চায় অবিতর্কিত এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির তিনজনকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত এবং দুজন প্রতিমন্ত্রীকে পূর্ণমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত প্রশংসার দাবিদার। তবে এ রদবদল দেশবাসীর কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হতো সরকারের জন্য বিড়ম্বনা সৃষ্টিকারী অদক্ষ এবং বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হলে।

সর্বশেষ খবর