বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফরজ নামাজের পর সর্বোৎকৃষ্ট তাহাজ্জুদের নামাজ

মাওলানা মুহাম্মদ সাহেব আলী

তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজকে ফরজ নামাজের পর সর্বোৎকৃষ্ট নামাজ বলে উল্লেখ করেছেন। এশার পর ফজর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় কোনো ফরজ নামাজ থাকে না। পবিত্র কোরআনে তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সুরা বনি ইসরাইলের ৭৯ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘এবং রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করবে, এ হলো তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’

তাহাজ্জুদের নামাজ পূর্ববর্তী নবীদের আমলেও আদায় করা হতো। তিরমিজির ৩৫৪৯ নম্বর হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা উচিত। কেননা তা তোমাদের আগেকার সজ্জনদের প্রতীক এবং তোমাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। নামাজ গুনা বিমোচনকারী এবং গুনার প্রতিবন্ধক। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা হয় রাতের শেষ প্রহরে। যে সময়  আল্লাহতায়ালা বান্দার সর্বাধিক নিকটবর্তী হন। হাদিসে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ে বিশেষ তাগিদ রয়েছে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রতি সদয় হন, যে রাতে ঘুম থেকে জেগে ওঠে তাহাজ্জুদের জন্য এবং তার স্ত্রীকেও জাগায়। আর যদি স্ত্রী উঠতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তার চেহারায় পানি ছিটিয়ে দেয়। মহান আল্লাহ সেই নারীর প্রতিও সদয় হন যে রাতে ঘুম থেকে ওঠে, তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে এবং নিজের স্বামীকেও জাগায়। আর যদি স্বামী উঠতে অস্বীকৃতি জানায় তার চেহারায় পানি ছিটিয়ে দেয়। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ১৩০৮)।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের তাওফিক দান করুন।

                হলেখক : ইসলামী গবেষক

সর্বশেষ খবর