বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইতিহাস

মেবারের  বিদ্রোহ ও স্বাধীনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩৩৬ সালে তুঘলকের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যে বিদ্রোহ এবং বিশৃঙ্খলা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। মেবারের  জালালুদ্দিন আহমদ শাহ প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীন হয়ে পড়লেন। ১৩৩৮ সালে বঙ্গদেশে ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লি সুলতানের স্বাধীনতা অস্বীকার করলেন এবং স্বাধীন নৃপতি হিসেবে রাজত্ব করতে লাগলেন। অন্যত্র ব্যস্ত থাকায় সুলতান বঙ্গদেশে বিদ্রোহ দমনে আসতে পারেননি। ১৩৪০ সালে অযোধ্যার শাসনকর্তা ও তদানীন্তন ক্ষমতাশালী অভিজাতদের মধ্যে অন্যতম আইনুল মুলকের নেতৃত্বে মারাÍক বিদ্রোহ শুরু হয়। সুলতান তাকে দৌলতাবাদে বদলি করলে তিনি মনে করলেন যে, সুলতান তার ধ্বংস সাধন করতে চাচ্ছেন। সুতরাং সুলতানের আদেশ অমান্য করে তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। কিন্তু তিনি পরাজিত ও বন্দী হলেন। তার বিশ্বস্ততা ও অতীতের কার্যাবলির কথা বিবেচনা করে সুলতান তার প্রতি উদার মনোভাব প্রদর্শন করেন। ইতিমধ্যে উত্তর ভারতে গোলযোগ দেখা দেয়। সুলতান এ বিদ্রোহ দমনে সফল হলেও দাক্ষিণাত্যে আবার গোলযোগ দেখা দেয়। দাক্ষিণাত্যের হিন্দুরা সুলতানের বিপদের সুযোগ গ্রহণ করে এবং স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টায় ব্রতী হয়। ১৩৪৬ সালে বিজয়নগর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়। বরঙ্গল ও দ্বারসমুদ্রও সুলতানের হাতছাড়া হয়ে যায়।

১৩৪৭ সালে দৌলতাবাদের বিদেশি আমিররা সুলতানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তারা ইসমাইল মুখ আফগান নামে তাদের এক নেতাকে রাজ্যাধিকার দান করেন। এ সংবাদ শুনে সুলতান গুজরাটে ফিরে আসেন এবং বিদ্রোহীদের দমন করে দৌলতাবাদ দুর্গ অধিকার করেন। কিন্তু হাসান নামে এক আমির তার কয়েকজন সমর্থকসহ গুলবরগাতে কোনোক্রমে পলায়ন করতে সমর্থ হন। সুলতান দৌলতাবাদ ত্যাগ করলে হাসান তা আক্রমণ ও অধিকার করেন। ইসমাইল মুখ হাসানের অনুকূলে তার দাবি ত্যাগ করেন। হাসান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং আবুল মুজাফফর বাহমান শাহ উপাধি ধারণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন। এভাবে বাহমনি রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর