শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

চাই বিনিয়োগবান্ধব নীতি

প্রতিবন্ধকতা অপসারণের উদ্যোগ নিন

বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে দেশে পর‌্যায়ক্রমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ইতিমধ্যে ২১টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এ সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিনিয়োগকারীরা প্রয়োজনে নিজ উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবেন। পরিবেশ রক্ষায় প্রতিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জলাধার থাকার আবশ্যকতার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষের সভায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার যে পরিকল্পনার কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন তা তাৎপর্যের দাবিদার। দেশের উন্নয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বিশিষ্ট ভ‚মিকা রাখছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করা সম্ভব হলে এবং সেগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা গেলে বাংলাদেশ এই এলাকার উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে। তবে এ জন্য দরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি। দেশে ২৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল থাকা সত্তে¡ও সেগুলোতে যে বিদেশি বিনিয়োগ কাক্সিক্ষত পর‌্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হয়নি এটি এক বাস্তবতা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রামে দক্ষিণ কোরীয় বিনিয়োগকারীরা যে অসহযোগিতার সম্মুখীন হয়েছেন তা দেশের সুনামের জন্য ক্ষতিকর। সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি অনুসরণ করলে শুধু বিদেশি বিনিয়োগ নয়, দেশি বিনিয়োগও দ্রুত বাড়ানো সম্ভব হব। এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণে বিনিয়োগকারীদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর