রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আল্লাহর একত্বকে মনেপ্রাণে ধারণ করার নাম তাওহিদ

মাওলানা আবদুর রশিদ

ইমানের মূল ভিত্তি হলো আল্লাহ এক এবং তার কোনো শরিক নেই- এই বিশ্বাসকে অন্তরে ধারণ করা। মুমিনদের এই বিশ্বাসকেই তাওহিদ বলা হয়। আল্লাহর একত্ববাদকে মনেপ্রাণে ধারণ করা এবং সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতাকে মেনে নেওয়ার মধ্যেই রয়েছে মুমিন জীবনের সার্থকতা। একজন মুমিনকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর এমনভাবে অটল বিশ্বাস রাখতে হবে, তিনিই সৃষ্টিজগতের সবকিছুরই মালিক। আল্লাহর হুকুমেই পৃথিবীর সবকিছু সংঘটিত হয়। তিনি সর্বশক্তিমান ও পরাক্রমশালী। তিনি চিরকাল আছেন ও থাকবেন। পৃথিবীসহ সৃষ্টিজগৎ আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর নির্দেশ ব্যতীত গাছের পাতাও ঝরে না। সৃষ্টিজগতের সবকিছুই তাঁর তসবিহ পাঠ করে। তিনি সবকিছুই জানেন, দেখেন ও শোনেন। এমনকি বান্দার হৃদয়ের মধ্যে কী আছে তাও তিনি অবগত। তিনিই জীবন-মরণের মালিক। তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। তিনি হও বললেই সবকিছু হয়ে যায়। মোটকথা আল্লাহই হলেন চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, সর্বশক্তির অধিকারী। বাকি সব তাঁর সৃষ্টি এবং সবই ধ্বংসশীল। তাই জীবনের সবকিছু সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে উৎসর্গ করাই তাওহিদের মূলমন্ত্র।

আল্লাহ এক এবং তাঁর কোনো শরিক নেই, এ সত্যের সমর্থনে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘যদি আসমান ও জমিনে এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ থাকত, তাহলে উভয় স্থানে অবশ্যই বিশৃঙ্খলা লেগে থাকত। (সূরা আম্বিয়া : আয়াত নং ২২)

আল্লাহ যে এক এ সাক্ষ্য তিনি নিজেই দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে। ইরশাদ করা হয়েছে, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। ফেরেশতারা এবং ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানীরাও সাক্ষ্য দেন যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা আলে-ইমরান-১৮)

একইভাবে সূরা কাহাফের ১১০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক একক সত্তা’। সূরা বাকারার ১৬৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের ইলাহ এক ও একক ইলাহ।  সেই রহমান ও রাহিম ইলাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ইলাহ নেই।’ আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওহিদের আলোয় আলোকিত হওয়ার তাওফিক দান করুন।

                লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর