বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রুটি দোকানির দোয়া যেভাবে কবুল হয়েছিল

মাওলানা আবদুর রশিদ

ইমাম আহমদ (রহ.) একবার সফররত ছিলেন এবং তখন কোনো এক রাত তার বাইরে কাটানোর প্রয়োজন হয়েছিল। তাই তিনি একটি মসজিদে গেলেন, কিন্তু মসজিদের পাহারাদার ইমাম আহমদ (রহ.)-কে চিনতে না পেরে তাকে মসজিদে ঢুকতে বাধা দেয়। ইমাম আহমদ (রহ.) অনেকবার তাকে অনুরোধ করে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু পাহারাদারটি তার অনুরোধ রাখেনি। হতাশ হয়ে ইমাম আহমদ (রহ.) রাতটি মসজিদের বারান্দায় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। এবার পাহারাদারটি আরও ক্ষেপে যায় এবং ইমাম আহমদ (রহ.)-কে টেনেহিঁচড়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিল। নিকটস্থ রুটির দোকানের একটি রুটি প্রস্তুতকারক এ দৃশ্য দেখে তার প্রতি দয়া হলো। তাই তিনি তাকে রাতে তার অতিথি হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। যখন ইমাম আহমদ (রহ.) সেখানে ছিলেন, তিনি খেয়াল করেন যে রুটি প্রস্তুতকারক লোকটি কাজ করছে আর ক্রমাগত ইস্তিগফার (আল্লাহর কাছে ক্ষমার আবেদন) করছে। সকালে ইমাম আহমদ (রহ.) খুব উৎসুক মনে সে লোকটিকে তার ক্রমাগত ইস্তিগফারের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। লোকটি বলল, এটা তার কাজের মতোই এক স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ইমাম আহমদ (রহ.) জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি আপনার এ আমলের কোনো পুরস্কার পেয়েছেন? লোকটি জবাবে বলল, আল্লাহর শপথ। আমি যত দোয়া করেছি সবই আল্লাহ কবুল করেছেন, শুধু একটি দোয়া বাদে। ইমাম আহমদ জিজ্ঞেস করেন, সে দোয়াটি কী?

লোকটি বলল, আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম যে, আমি যেন প্রসিদ্ধ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বাল (রহ.)-এর সাক্ষাৎ লাভ করতে পারি। ইমাম আহমদ (রহ.) অত্যন্ত আশ্চর‌্যান্বিত হয়ে বলেন, আমিই আহমদ ইবনে হাম্বাল! তিনি আরও বলেন, আল্লাহর শপথ! তিনি আমাকে তোমার স্থানে নিয়ে এসেছেন এ জন্য যে, যাতে তোমার ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়।

                লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর