শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অধিক প্রশংসা ও সমালোচনা নিন্দনীয়

মুফতি মুহাম্মদ আল আমিন

আমরা যখন কারও প্রশংসা করি তখন প্রশংসা করতে করতে তাকে আকাশে তুলে দেই। আবার কারও সমালোচনা করতে বসলে তার দুর্নাম করতে করতে পাতালে ডুবিয়ে দেই। ইসলামের দৃষ্টিতে দুটোই নিন্দনীয়। মানুষের ভালো-খারাপ গুণাগুণ থাকতেই পারে। দোষ-গুণ মিলেই মানুষ। তাই কোনো মানুষ সম্পর্কে কথা বলতে হলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রশংসা করতে হলে মনে রাখতে হবে, কারও উপস্থিতিতে তার সম্মুখে প্রশংসা করা যাবে না। প্রশংসা করতে হবে তার অনুপস্থিতিতে। হজরত মেকদাদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, যখন তোমরা অত্যধিক প্রশংসাকারীদের দেখবে তাদের মুখে মৃত্তিকা নিক্ষেপ করবে (মুসলিম)। প্রশংসা করতে গিয়ে সীমালঙ্ঘন করা যাবে না। হজরত আবু বাকরা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর সামনে অন্যের প্রশংসা করল। তখন নবী করিম (সা.) বললেন, তোমার অকল্যাণ হোক। তুমি তো তোমার ভ্রাতাকে হত্যা করলে। এ কথাটি তিনি তিনবার বললেন। তারপর বললেন, যদি তোমাদের কেউ কারও প্রশংসা করতেই হয় সে যেন এরূপ বলে যে, আমি অমুক ব্যক্তি সম্পর্কে এরূপ ধারণা রাখি, তবে প্রকৃত অবস্থা আল্লাহতায়ালা অবগত। আর তা তখন বলবে যখন প্রকৃতই তুমি বিশ্বাস করবে যে, ওই ব্যক্তি এরূপই। আর কারও পবিত্রতা বর্ণনার ক্ষেত্রে আল্লাহর ওপর বাড়াবাড়ি করবে না (বুখারি ও মুসলিম)। কারও সমালোচনা করা একটি ভয়ঙ্কর অপরাধ। আরবিতে একে গিবত বলে। পবিত্র কোরআনের সূরা হুজুরাতে গিবত করাকে আপন মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। হাদিসের কিতাবগুলোতে গিবত ও সমালোচনার ভয়াবহতা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। আল্লাহ আমাদের অপরের গিবত বা খারাপ সমালোচনা করার প্রবণতা থেকে দূরে রাখুন।

-লেখক : খতিব, সমিতিবাজার মসজিদ, নাখালপাড়া, ঢাকা।

 

সর্বশেষ খবর