শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শুভ বড়দিন

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় পাথেয় হতে পারে যিশুর আদর্শ

শুভ বড়দিন আজ। গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডারের ২৫ ডিসেম্বর দিনটি খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বীরা পালন করেন বড়দিন হিসেবে। ২৫ ডিসেম্বর বছরের সবচেয়ে ছোট দিনগুলোর একটি হলেও মহাপুরুষ যিশুখ্রিস্টের মাহাত্ম্যে দিনটি মহিমান্বিত বড়দিন হিসেবে। আকাশছোঁয়া মর্যাদার অধিকারী এক পুণ্যবানকে স্মরণ করা হয় এদিনে। খ্রিস্টধর্মের মহান প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট ছিলেন অহিংসার মূর্তপ্রতীক। এই মহাপুরুষের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা উত্সবে মেতে ওঠেন। প্রার্থনা ও উত্সবী আমেজে স্মরণ করা হয় ওই পবিত্র পুরুষকে। যিশুখ্রিস্ট শান্তি ও কল্যাণের যে বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন তার অমরতা অনুভূত হয় বড়দিনের উত্সবে। হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানিতে মত্ত পৃথিবীতে ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছিলেন মহাপুরুষ যিশুখ্রিস্ট। দুই হাজার বছর আগে ফিলিস্তিনের বেথলেহামের আস্তাবলে জন্ম নেন মানব জাতির ইতিহাসের অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী এই পবিত্র পুরুষ। ২৫ ডিসেম্বর দিনটিকে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হলেও এটি কল্পিত বিষয়। যিশু ঠিক কোন দিনটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই এবং এটি তার জীবনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নয়। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের যে শিক্ষা যিশুখ্রিস্ট মানব জাতিকে দিয়ে গেছেন তাতেই তার মহিমা যথাযথভাবে প্রকাশ পায়। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই এ মহাপুরুষের প্রতি ধর্মীয় কারণেই শ্রদ্ধাশীল। খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের কাছে তিনি ত্রাতা তথা মানব জাতির উদ্ধারকর্তা। মুসলমানদের কাছে তিনি আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ বা নবী। যিশুখ্রিস্ট ছিলেন সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের অমিয় বাণীর প্রচারক। অসত্য-অসুন্দর ও অকল্যাণের প্রতিভূদের হাতে তাকে এ জন্য নির্যাতিত হতে হয়েছে। জীবন বিপন্ন হওয়ার হুমকিকে তুচ্ছজ্ঞান করে তিনি মানবতার জয়ধ্বনি জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। মানুষে মানুষে ভালোবাসা ও সহমর্মিতার যে পথ দেখিয়েছেন যিশুখ্রিস্ট তা আজকের এই যুগে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় পাথেয় হতে পারে। সভ্যতার সংঘাতে বিপদাপন্ন পৃথিবীতে যিশুখ্রিস্টের শিক্ষাই গড়ে তুলতে পারে শান্তির পরিবেশ। এ মহাপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এটিই হলো প্রকৃষ্ট উপায়। আজ শুভ বড়দিন পালিত হচ্ছে জগত্জুড়ে। মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যেসব সদস্য বাস করেন বড়দিন তাদের মধ্যেও উত্সবী পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। বড়দিনের উত্সবে যোগ দিচ্ছে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষ।  শুভ বড়দিনে দেশের এবং বিশ্বের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর