রবিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

কনকনে শীত

গরিব মানুষের দুর্ভোগ কমানোর উদ্যোগ নিন

কনকনে শীত নেমেছে সারা দেশে। কোথাও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের প্রথম বৃষ্টির ওপর ভর করে সারা দেশে যেমন শীতের প্রকোপ বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে গরিব-দুঃখী মানুষের দুর্ভোগ। শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। সড়ক ও নৌ চলাচলে বিপদের হাতছানি ডেকে আনছে কুয়াশার চাদর। আবহাওয়ার বিচিত্র খেলায় এবার শীত নেমেছে যেমন দেরিতে, তেমন কাঁপুনি দেওয়া শৈত্যপ্রবাহ কিছুটা দেরিতে অনুভূত হলো। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। তা শেষ পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেশের জনজীবনে ইতিমধ্যে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ঘন কুয়াশায়  সড়ক ও নৌপথে যাতায়াত বিঘ্নিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। রাজধানী থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতে দেখা দিয়েছে বিঘ্ন। ঘন কুয়াশায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। আগামী এক কিংবা দুই সপ্তাহে শীতের প্রকোপ যেমন বাড়তে পারে তেমনি বাড়তে পারে কুয়াশা। শীত সাধারণভাবে সবচেয়ে পছন্দনীয় ঋতু হলেও গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য এ ঋতু দুর্ভোগও বয়ে আনে। শীতে দিনমজুরদের কাজ পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। শীত নিবারণের পোশাক এবং কম্বল-কাঁথার অভাবে তারা কষ্টও পায়। শীতজনিত রোগের শিকার হয় অসংখ্য মানুষ। বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধরা সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। প্রাণ হারায় অনেকে। শীত মৌসুমে প্রতিবারই সরকারের পক্ষ থেকে সমাজের নিঃস্ব মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ করা হয়। শীত পোশাক ও কম্বল বিতরণে এগিয়ে আসে সমাজের সম্পন্ন মানুষ। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের উদ্যোগ ততটা শুরু হয়নি বললেই চলে। শীতের প্রকোপ আরও বাড়ার আগেই সমাজের গরিব মানুষকে রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে। এটি যেমন সরকারের দায়িত্ব তেমনি সম্পন্ন জনদেরও এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহে দেশের কৃষির যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকেও তীক্ষ নজর রাখতে হবে।  শীত বিশেষত কুয়াশার সময় সড়কে যানবাহন চলাচলেও সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর