বুধবার, ১১ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাহাদুর শাহ ও শরৎ কাহিনী

নঈম নিজাম

বাহাদুর শাহ ও শরৎ কাহিনী

ক্ষমতা কিছুই না। আজ বাদশাহ কাল ফকির। কথার কথা নয়, বাস্তবেও তাই। ক্ষমতা নিয়ে দাম্ভিকতার কিছু নেই। ক্ষমতার দর্প চূর্ণ হতে বেশি সময় লাগে না। ক্ষমতা হারিয়ে ইতিহাসের আড়ালে চলে যাওয়া মানুষ এই যুগেও কম নেই। সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফির পরিণতি আমাদের চোখের সামনে। দিল্লির শেষ বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফরের সমাধিতে গিয়েছিলাম ২ মে। ইয়াঙ্গুনে শুয়ে আছেন দিল্লির শেষ বাদশাহ।  মৃত্যুর আগে তার আক্ষেপ ছিল। কষ্ট ছিল। সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা ছিল নিজ দেশে দাফনের স্থানটুকু না হওয়াতে। হৃদয়ের রক্তক্ষরণে তিনি লিখেছিলেন— ‘কিতনা বদ নসিব হ্যায় জাফর, দাফনকে লিয়ে দু গজ জমিন ভি না মিলি কু ইয়ারমে।’ আফসোস! বাদশাহর দাফনের ঠাঁই মেলেনি তার সাম্রাজ্যেতে। পরবাসের নির্জনে নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণায় অসহায়ভাবে মৃত্যু হয়েছিল তার। এর পর সাধারণভাবে দাফন তখনকার রেঙ্গুন বা আজকের ইয়াঙ্গুনে। অনেক বছর অবহেলায় পড়েছিল তার কবর। শেষ পর্যন্ত ভারতের সরকারগুলো সংস্কার করে তার সমাধির। সবচেয়ে বেশি করেছেন রাজীব গান্ধী। তিনি মোগল বাদশাহর শেষ কষ্টেরও লিখিত জবাব দিয়েছিলেন। রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে গিয়েছিলেন মিয়ানমার। তখন তিনি বাহাদুর শাহের সমাধিতে যান শ্রদ্ধা জানাতে। পরিদর্শক বইতে তিনি লিখেছিলেন— ‘দু গজ জমিন তো না মিলি হিন্দুস্তান ম্যা, পার তেরি কোরবানি সে উঠি আজাদি কি আওয়াজ, বদ নসিব তো নেহি জাফর, জুডা হ্যায় তেরা নাম ভারত শান আউর শওকত মে, আজাদি কি পয়গাম সে।’ বাংলাতে এর অর্থ— ‘হিন্দুস্তানে তুমি দু গজ মাটি পাওনি সত্য। তবে তোমার আত্মত্যাগ থেকেই আমাদের স্বাধীনতার আওয়াজ উঠেছিল। দুর্ভাগ্য তোমার নয় জাফর, স্বাধীনতার বার্তার মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের সুনাম ও গৌরবের সঙ্গে তোমার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে।’

বাহাদুর শাহ ছিলেন বাবর, আকবরের শেষ বংশধর। ব্রিটিশরা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভারতের নিয়ন্ত্রণ নেয়। বাহাদুর শাহ দিল্লিতে পরিবার নিয়ে বন্দী জীবন কাটানোর সময়ই শুরু হয় সিপাহি বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের আঁচড় নতুন করে পড়ে দিল্লির মসনদে। সিপাহিরা ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামে সামনে নিয়ে আসেন বাহাদুর শাহকে। তারা প্রচার করেন সম্রাট তাদের সঙ্গে রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে বাহাদুর শাহ ছিলেন মনেপ্রাণে একজন কবি। গজল আর শায়েরি লিখতে পছন্দ করতেন। সিপাহি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বয়স তখন সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের ছিল না। কিন্তু সিপাহিরা তা বুঝতে নারাজ। তারা দিল্লির শেষ সম্রাটকে সামনে রাখে। ১৮৫৭ সালের ১১ মে সিপাহিরা দিল্লি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা লালকেল্লায় প্রবেশ করে বাহাদুর শাহকে স্বাধীন সম্রাট ঘোষণা করে। বাহাদুর শাহ তখন লালকেল্লায় বন্দী ছিলেন। তাকে ব্রিটিশরা বড় ধরনের অবসর ভাতা দিতেন বছরে লাখ রুপি। গভীর রাতে তোপধ্বনির আওয়াজে কেঁপে ওঠে দিল্লি। সিপাহিরা তোপধ্বনি দিয়ে বাদশাকে সম্মান জানায়। ঘোষণা দেয় স্বাধীনতার। কিন্তু বসে ছিল না ইংরেজরা। তারা পাল্টা অবস্থান নেয়। কঠোরভাবে সিপাহি বিদ্রোহ দমন করে। প্রাণ বাঁচাতে বৃদ্ধ সম্রাট আশ্রয় নেন বাদশাহ হুমায়ুনের কবরে। সঙ্গে দুই পুত্র মীর্জা খোয়ায়েশ ও জওয়ান বখত। বাদশাহর ছিল ২২ পুত্র। বাকিরা জামে মসজিদের চারপাশে পালিয়ে থাকেন। বাদশাহর ১৮ পুত্রকে আটক করে ইংরেজ সেনারা। তারপর স্বাধীনতা সংগ্রামকে চিরতরে কবর দিতে দিল্লি গেটের কাছে তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়। নৃশংস হত্যার শিকার হন বাদশাহর ১৮ সন্তান। ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতা এখানে থেমে থাকেনি। আরও নিষ্ঠুরতা অপেক্ষা করছিল বাদশার জন্য। পুত্র ও নাতিদের ছিন্ন করা মস্তক থালায় সাজিয়ে পাঠানো হলো বাদশাহর সামনে। যা এখনো ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর নির্মমতা।

এরপর শুরু বাদশাহর বিচার। ২২ সেপ্টেম্বর ১৮৫৭ সালে ধরা পড়লেন শেষ মোগল সম্রাট। সঙ্গে দুই স্ত্রী। সিপাহি বিদ্রোহের বিচারের নামে মোগল সম্রাটকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো। পাঁচ মাস ধরে চলল বিচারের নামে প্রহসন। নিজের দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াকু সিপাহিদের বিদ্রোহের মদদদাতা হিসেবে অপরাধী সাব্যস্ত করা হলো বাহাদুর শাহকে। বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু বার্ধক্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে নির্বাসনে পাঠানোর সুপারিশ করা হয় আদালতের পর্যবেক্ষণে। ১৮৫৮ সালের ৯ ডিসেম্বর সম্রাটকে বহনকারী জাহাজ থামে ইয়াঙ্গুনের নৌঘাটে। তার আশ্রয় মেলে এক ইংরেজ সেনা ক্যাপ্টেনের বাড়ির গ্যারেজে। বাহাদুর শাহের সঙ্গে তার স্ত্রী, দুই পুত্রসহ পরিবারের ১৬ সদস্য। এরপর বিশ্ব দাপুটে দিল্লির সম্রাট বাবর, আকবরের শেষ উত্তরসূরির এক কঠিন জীবন শুরু হয় ইয়াঙ্গুনের মাটিতে। আর্থিক অভাব-অনটনের মাঝে কাটত তার প্রতিটি ক্ষণ। ইংরেজ সরকার কাউকে দেখা করতে দিতেন না সম্রাটের সঙ্গে। কাজের লোকদের যেতে হতো বিশেষ পাস নিয়ে। ভারত থেকে বাহাদুর শাহ এলেন রেঙ্গুনে আর বার্মার শেষ শাসক রাজা থিবোকে ভারতে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে তার পরিণতি বাহাদুর শাহের মতো ছিল না। থিবোকে একটি দোতলা বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মাসিক বরাদ্দ ছিল ৫০ রুপি। সে তুলনায় কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েন মোগল বাদশাহ। কষ্ট আর বিষাদ দূর করতে তিনি এই সময় শায়েরি লেখায় মনোযোগ দেন। তার শেষ লেখাটি আমার মনে দাগ কাটে। আকুতি নিয়ে তিনি লিখেছিলেন— ‘চার দিনের জন্য আয়ু নিয়ে এসেছিলাম। দুদিন কাটল প্রত্যাশায় আর দুদিন অপেক্ষায়।’ অপেক্ষায় শুধু সাধারণ মানুষ নয়, অনেক সময় রাজা-মহারাজাদেরও থাকতে হয়। ভালো কিছুর অপেক্ষায় আমরাও দিন কাটিয়ে দিই। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না। দিল্লির বাদশাহরও শেষ হয়নি। তাই শেষ মুহূর্তে পরবাসে তাকে আকুতি নিয়ে মরতে হলো। বড় আশা ছিল নিজ দেশের মাটিতে দাফনের। সেই আশা পূরণ হয়নি। বাহাদুর শাহ জাফরের সমাধিতে গিয়েছিলাম ২ মে ২০১৬ সকালে। সঙ্গে স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন আর সাংবাদিক কাজী রওনক। আমাদের বাহাদুর শাহের শায়েরের অনুবাদগুলো বুঝিয়ে দেন রওনক ভাই। তার হিন্দি, উর্দু চর্চার প্রশংসা করতে হয়। ইয়াঙ্গুন শেডাগন প্যাগোডার কাছেই বাহাদুর শাহের সমাধি। সুনসান নীরবতা। ভারত সরকার বেশ কয়েকবার সমাধিটির সংস্কার করে। ভারতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ইয়াঙ্গুনে গেলেই বাহাদুর শাহের সমাধিতে যান। বাংলাদেশের কৌতূহলী সাংবাদিক হিসেবে আমরাও বাদ পড়লাম না। আমরাও গেলাম। ইতিহাস নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি খারাপ লাগল না।

ইয়াঙ্গুনে আরেক বাঙালি লেখকের বর্ণাঢ্য সময় কেটেছে। এই বিখ্যাত লেখকের নাম শরত্চন্দ্র। শরৎ কাহিনী এখনো আমাকে টানে। সুযোগ পেলে পড়ার চেষ্টা করি। শরৎ বাবুর রেঙ্গুন কাহিনী প্রথম পড়েছিলাম কিশোর বয়সে। এখনো অনেক কিছু দাগ কেটে আছে। শ্রীকান্তকে দিয়ে শরত্চন্দ্র নিজের অনেক গল্প পাঠককেও শুনিয়েছেন। তবে ব্যক্তিজীবনে শরত্চন্দ্র তখনকার রেঙ্গুনে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। মিয়ানমারের তখন নাম ছিল বার্মা আর রাজধানীর নাম রেঙ্গুন। ছোটবেলায় আমাদের অঞ্চলের অনেক মানুষ পেতাম যারা ছিলেন রেঙ্গুন ফেরত। চট্টগ্রামের সদরঘাট অথবা চাঁদপুর থেকে জাহাজে চড়তেন। তারপর সোজা রেঙ্গুন। শরত্চন্দ্র রেঙ্গুন যান চাকরির প্রত্যাশায়। তার মেশো মশাই রেঙ্গুনে রেলের অডিট বিভাগে চাকরি জোগাড় করে দেন শরত্চন্দ্রকে। এরপর কলকাতা থেকে সোজা রেঙ্গুন। এর আগে সন্ন্যাস জীবনও পালন করেছিলেন শরত্চন্দ্র। পোড় খাওয়া জীবন ছিল তার। বড় কষ্টে রেঙ্গুনের চাকরিটি জোটে। কিন্তু শান্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। হঠাৎ মেসোমশাইয়ের মৃত্যুতে সব তছনছ হয়ে যায়। পরিবারের সব সদস্য কলকাতা ফেরত আসেন। অন্যদিকে শরত্চন্দ্রের রেলওয়ের চাকরিটি চলে যায়। মহাসমস্যায় পড়েন তিনি। আশ্রয় নেন বন্ধু গিরিন্দ্রনাথ সরকারের কাছে। এই বন্ধুটি থাকতেন রেঙ্গুন শহর থেকে ৪৫ মাইল দূরের পেগুতে। এখানে তিনি অবিনাশ চট্টোপাধ্যায় নামে নিজের গ্রামের একজনের কাছে আশ্রয় নেন। অবিনাশ বাবু এই দূর দেশে নিজের এলাকার একটি ছেলেকে শুধু আশ্রয় দেননি আদর-যত্নে থাকারও ব্যবস্থা করেন। এই সময় মণীন্দ্র কুমার মিত্র নামে বার্মার পাবলিক ওয়ার্কস অ্যাকাউন্ট অফিসের উপ-নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি তার অফিসে চাকরির ব্যবস্থা করেন শরত্চন্দ্রের জন্য।

আবার রেঙ্গুনে ফিরে আসেন লেখক। এই চাকরি তিনি অনেক দিন করেন। এ সময় বাংলা সাহিত্যের এই জনপ্রিয় লেখক থাকতেন শহরের বোটাটং-পোজনডং অঞ্চলে। এখানে কলকারখানার মিস্ত্রিরা বেশি থাকতেন। এ কারণে এই এলাকার আরেকটি নাম ছিল মিস্ত্রিপাড়া। এই পাড়াতে শরত্বাবুর প্রথম বিয়ে। শরত্চন্দ্র যে বাড়িতে থাকতেন সে বাড়ির নিচেই থাকতেন চক্রবর্তী নামের এক মিস্ত্রি। ভদ্রলোক সারা দিন মাতাল থাকতেন। তার কন্যা শান্তির সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন আরেক মাতালের। এ বিয়েতে শান্তির তীব্র আপত্তি। এক রাতে শান্তি দেবী এসে শরত্চন্দ্রের পায়ে পড়েন। অনুরোধ করেন তাকে মাতালের কবল থেকে রক্ষা করতে। শরত্চন্দ্র কী আর করবেন। নিজেই বিয়ে করেন শান্তিকে। কিন্তু শান্তিকে নিয়ে বেশি দিন শান্তিতে জীবন থাকল না তার। এক সন্তানের জন্মের পর শান্তি অসুস্থ হন। প্লেগে আক্রান্ত শরৎ পত্নী ও পুত্র মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বার্মা মুল্লুকে শোকে কাতর হয়ে ওঠেন শরৎ। এ ঘটনার পর অনেক দিন তিনি আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি। ছিলেন নিজের মতো করে। একপর্যায়ে মোক্ষদা নামে এক নারীকে বিয়ে করেন শরত্চন্দ্র। পরে এই নারীর নাম বদল করে রাখেন হিরণ্ময়ী। মূলত হিরণ্ময়ী দেবীর পিতার অনুরোধেই শরত্চন্দ্রের এ বিয়ে। রেঙ্গুনে অবস্থানকালে একবার ছুটি নিয়ে এক মাসের জন্য কলকাতায়ও তিনি আসেন। এই সময় এক পত্রিকা সম্পাদকের অনুরোধে একটি উপন্যাস লেখেন। রেঙ্গুন থেকে পাঠানো সেই উপন্যাসের নাম রামের সুমতি। যা তাকে বিখ্যাত করে দিয়েছিল। এই সময় হঠাৎ অসুস্থ হন শরত্চন্দ্র। এই কারণে ১৯১৬ সালে এক বছরের ছুটি চান অফিসে। কিন্তু অফিস ছুটি দেবে না। বসদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। তিনি এই বিবাদেই চাকরি ছাড়েন। চলে আসেন কলকাতায়। শুরু হয় তার লেখালেখি আর নতুন জীবন। রেঙ্গুনে অবস্থানকালে শরত্চন্দ্র মিস্ত্রিপাড়া ছাড়াও ছিলেন ল্যান্সডাউন স্ট্রিট, ৫৪/৩৬ স্ট্রিট, ৫৭/৯ লুইস স্ট্রিট। শরতের সেই স্ট্রিটগুলো এখনো আছে ডাউন টাউনে। এক সন্ধ্যায় ডাউন টাউন গেলাম আমরা। ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এখানে বাংলা মসজিদ বিখ্যাত। পাশেই একটি প্যাগোডা। দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। আধুনিক ইয়াঙ্গুনের সঙ্গে শরত্যুগ মেলে না। সব কিছু বদলে গেছে। রাস্তায় হেঁটে হেঁটে কোথাও পুলিশ দেখলাম না। শহর যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। পার্কগুলোতে ময়লা নেই। ট্যাক্সি ড্রাইভার ভাষা বুঝে না। তাই বলে মানুষকে ঠকানোর কোনো লক্ষণ দেখলাম না। বরং সঠিক ভাড়াই নিল আমাদের কাছ থেকে। দোকানপাটে জিনিসপত্র আমাদের চেয়ে দাম কম। দোকানদার আমাদের ভাষা বোঝেন না। কিন্তু তাতে কি? ডাউন টাউনে হিন্দি ও উর্দুভাষী কিছু মানুষকে পেলাম। কয়েক পুরুষ ধরেই তাদের বাস। আগের যুগের বাঙালিদের সন্ধান করলাম। বাংলা মসজিদের কাছে একজন বললেন, এখন কয়েক পুরুষজুড়ে থাকার কারণে এখন আর বাঙালি নেই।  তবে এখনো ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ইয়াঙ্গুন থাকেন। তাদের কারও কারও কাহিনী হয়তো শরত্চন্দ্রের মতোই।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সর্বশেষ খবর