রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাজেট প্রতিক্রিয়া

কৃষকদের কল্যাণে বাড়তি উদ্যোগ নিতে হবে

অর্থমন্ত্রী তার বাজেটকে উচ্চাভিলাষী হিসেবে স্বীকার করেছেন। বাজেট-উত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, বাজেটের অর্থায়নে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দেওয়া হয়েছে তা আসলেই উচ্চাভিলাষী। এ লক্ষ্য অর্জন যে কষ্টসাধ্য বিষয়টি মেনে নিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন তা অসম্ভব নয়। বাজেটে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দাবি অনেকাংশে পূরণ করা হলেও তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ উেস কর বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, কর বৃদ্ধির কারণে অনেক গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একই ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। তাদের ক্ষোভ ব্যবসায়ীদের দেওয়া ৭টি প্রস্তাবের কোনোটিই বাজেট প্রণয়নে রক্ষা করা হয়নি। বাজেট নিয়ে সংশয়ের কথা বলা হয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষ থেকেও। ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে প্রস্তাবিত বাজেটের তীর-ধনুকে লক্ষ্যভেদ করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সংশয়ের কথা বলেছেন তারা। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পরপরই তা নিয়ে শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা চান ব্যবসাবান্ধব বাজেট, উদ্যোক্তারা চান দেশীয় শিল্পে সুবিধা আর চাকরিজীবীরা তাদের বেতন-ভাতা সুবিধা বাড়ছে কিনা সে বিষয়ে উদগ্রিব থাকেন। সাধারণ মানুষের চাওয়া থাকে আয়, কর্মসংস্থান বাড়ছে কিনা, জিনিসপত্রের দাম সহনীয় থাকছে কিনা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে কিছু কিছু করে সব খাতের চাওয়া পূরণের চেষ্টা রয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। রয়েছে দেশীয় শিল্পে সুরক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টা। এই অল্প অল্প প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কারণ প্রস্তাবিত বাজেটের ব্যয় মেটাতে গিয়ে যে বিশালাকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়েছে তা অর্জনের জন্য এ ছাড়া আর উপায়ও ছিল না তার। বাজেটে কৃষকদের কল্যাণে কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।  এ সীমাবদ্ধতা দুর্ভাগ্যজনক এবং তা কাটিয়ে উঠতে সরকারকে আরও সচেতন হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর