রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভাড়াটিয়া তথ্য সংরক্ষণ

জননিরাপত্তার জন্য সহায়ক হবে

জননিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীর ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। দুর্ঘটনা ও বিপদে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের স্বজনদের সহায়তা দেওয়া এবং সন্দেহভাজনদের গতিবিধি শনাক্ত করার জন্য এ উদ্যোগের প্রাসঙ্গিকতা ছিল গুরুত্বের দাবিদার। কিন্তু নানা জটিলতা ও জনসচেতনতার অভাবে উদ্যোগটির বাস্তবায়ন চলছে বেশ ধীরগতিতে। দুই দফা সময় বাড়ালেও ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পূরণের কার্যক্রমে গতি আসেনি। এ বিষয়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ লাখ ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। মে মাসে কী পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ হয়েছে, সে ব্যাপারে ডিএমপির কাছ থেকে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গত ২৯ মে পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ ভাড়াটিয়ার তথ্য ফরম হাতে পেয়েছে পুলিশ, যা মোট ভাড়াটিয়ার অর্ধেকেরও কম। প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে একটি যুগোপযোগী ডাটাবেইস তৈরি করবে ডিএমপি। এ জন্য তারা একটি সফটওয়্যারও তৈরি করেছে। তবে নানা জটিলতায় তথ্য লিপিবদ্ধকরণ কাজই এখনো শুরু হয়নি। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত তথ্য ফরম পূরণে তোড়জোড় দেখা গেলেও এরপর তা ঝিমিয়ে পড়ে। বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য ফরম জমা দিতেও আর বলা হচ্ছে না ডিএমপির পক্ষ থেকে। কিছু এলাকায় ফরম গ্রহণ করে জমা দেননি বাড়িওয়ালারা। পূরণকৃত ফরমে সঠিক তথ্য হয়েছে কিনা, তা যাচাই হয়নি অনেক এলাকায়ই। রাজধানীর ভাড়টিয়াদের সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা গেলে সন্দেহভাজনদের ওপর পুলিশের নজর রাখার ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাবে। পেশাদার অপরাধী ও জঙ্গি তত্পরতার নিয়ন্ত্রণেও তা তাত্পর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরপরই ত্বরিত গতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত কাজে লাগানো যাবে সহজেই।  দেশ যখন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হুমকির সম্মুখীন তখন এই অশুভ দৈত্যকে ঠেকাতে নাগরিক সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। যে লক্ষ্য পূরণে ভাড়াটিয়া তথ্য দ্রুত সংগ্রহ এবং তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর