১৪৮১ থেকে ১৫১২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ একত্রিশ বছর বায়েজিদ তুর্কি সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন; কিন্তু সমরক্ষেত্র অথবা শাসনকার্যে তিনি বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দিতে পারেননি। তিনি স্বেচ্ছাচারী শাসক ছিলেন না এবং রাজ্যের সম্প্রসারক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেননি। তবুও এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, তিনিই সর্বপ্রথম হারজেগোভিনা দখল এবং দানিয়ুব নদী ও কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলসমূহ তুরস্ক সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। ভেনিসে অভিযান চালিয়ে তাদের নৌশক্তি চূর্ণবিচূর্ণ করে ভূমধ্যসাগরে তুর্কি নৌবহরের আধিপত্য সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। পোল্যান্ড ও রোডস দ্বীপ দখলে ব্যর্থ হলেও তিনি পিতার সমরনীতি যথাযথ পালন করেন। সুন্নি ইসলামের রক্ষক হিসেবে তুর্কি সাম্রাজ্যকে শিয়া প্রভাব থেকে মুক্ত করার প্রয়াস পান। এভারসলে যথার্থই বলেন, ‘তিনি দার্শনিক মনোভাবাপন্ন ছিলেন, ধর্মের প্রতি তার নিষ্ঠা ছিল এবং পিতার মতো অনাচারী ছিলেন না। তার বংশের অনেক সদস্যের মতো তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, করতেন এবং কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।’ বায়েজিদের রাজত্বের শেষ দুই বছর গৃহযুদ্ধের কারণে অরাজকতাপূর্ণ ছিল। তার কনিষ্ঠ পুত্র সেলিম ছিলেন অভিজ্ঞ যোদ্ধা, কর্মদক্ষ ও উচ্চাভিলাষী।