সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

চার লেনের মহাসড়ক

যানজটের দুর্ভোগ মুক্তির সুসংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ দুই চার লেনের মহাসড়ক শনিবার উদ্বোধন হলো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত দুই মহাসড়ক চার লেনে পরিণত করার ঘটনাকে দেশবাসীর জন্য ঈদ উপহার হিসেবেই দেখা হচ্ছে। চার লেনের কল্যাণে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সাড়ে চার ঘণ্টায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পৌঁছানো যাবে দেড় ঘণ্টায়। যানজটের ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে যাতায়াতকারী মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে বলা হয় জাতীয় অর্থনীতির লাইফ লাইন। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হয়। ১৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের দুই পাশ সম্প্রসারণ করে চার লেন করার মহাযজ্ঞটি সম্পন্ন করতে ১০টি প্যাকেজে ভাগ করে দেশি-বিদেশি তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। প্রকল্পটির সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় তা বাস্তবায়নে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হয়েছে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যয়ও বেড়েছে বিপুলভাবে। ৩ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চার লেন মহাসড়কের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নিত্য যানজটের অভিশাপ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। ২০১১ সালের শেষ দিকে ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং তা ২০১৩ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজের শম্বুকগতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় দ্বিগুণ বেশি সময় লেগেছে। যে মহাসড়ক নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৯২ কোটি টাকা তার নির্মাণ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ ১ হাজার ৮১৫ কোটি ১২ লাখে গিয়ে ঠেকেছে। দুই মহাসড়ক সম্প্রসারণ বা চার লেনে উন্নীত করা জাতির জন্য এক সুসংবাদ হলেও নির্মাণ কাজে দীর্ঘসূত্রতা এবং নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়া ছিল একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়।  ভবিষ্যতে যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্ধারিত সময়ে তা যাতে বাস্তবায়িত হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।  সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তার দায় নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে এমনটিই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর